হান্নানের ব্যাটে ঝড়, মাহমুদের অলরাউন্ড নৈপুণ্য

প্যাড-হেলমেট পরে ব্যাট নিয়ে প্রস্তুত আকরাম খান বলছিলেন- ‘খুব চাপে পড়ে গেলাম’। তার দলের দুই ওপেনার হাবিবুল বাশার আর হান্নান সরকার তখন খুব ভালো ব্যাট চালাচ্ছিলেন। তবে চাপে কেন আকরাম? চাপ আসলে ম্যাচের পরিস্থিতির জন্যে নয়। স্ত্রী সাবিনা আকরামের সামনে ব্যাট হাতে যদি ব্যর্থ হন। মান ইজ্জত কিছু থাকে? সোমবার মিরপুরে এমন চাপে অবশ্য ছিলেন খেলতে আসা সব সাবেক ক্রিকেটারই।
স্বাধীনতা দিবসে মিরপুরে প্রীতি ম্যাচ খেলেন সাবেক ক্রিকেটাররা। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্যাড-হেলমেট পরে ব্যাট নিয়ে প্রস্তুত আকরাম খান বলছিলেন- ‘খুব চাপে পড়ে গেলাম’। তার দলের দুই ওপেনার হাবিবুল বাশার আর হান্নান সরকার তখন খুব ভালো ব্যাট চালাচ্ছিলেন। তবে চাপে কেন আকরাম? চাপ আসলে ম্যাচের পরিস্থিতির জন্যে নয়। স্ত্রী সাবিনা আকরামের সামনে ব্যাট হাতে যদি ব্যর্থ হন। মান ইজ্জত কিছু থাকে? সোমবার মিরপুরে  এমন চাপে অবশ্য ছিলেন খেলতে আসা সব সাবেক ক্রিকেটারই।

স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবস। বছরে এই দুটি নিয়ে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলনমেলা বসে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। তুলে রাখা ব্যাট বল বের করে মাঠেও নামেন তারা। এবারও হয়েছে তেমন প্রীতি ম্যাচ। তাতে লাল দলের অধিনায়ক আকরাম খান আর সবুজ দলের নেতাগিরি করেছেন আতাহার আলি খান। ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে আকরামের দল। 

সকালে খেলার শুরুতে দর্শক ছিলেন মাশরাফি মর্তুজা। কিছুক্ষণ খেলা দেখে চলে যান ওয়ানডে অধিনায়ক। সাকিব আল হাসান চলে আসেন একদম লাল দলের ড্রেসিং রুমে। সেখানেই চলে আড্ডা। ওদিকে পতাকা নিয়ে বাউন্ডারি লাইনে গিয়ে মুশফিক সমর্থন জুগিয়েছেন দুদলকেই। করেছেন খুনসুটি। দুদলের ড্রেসিং রুমেই খেলোয়াড়দের স্ত্রী সন্তানে ভরপুর, তারা স্বভাবতই ব্যস্ত ছিলেন সেলফি তোলায়।

লাল সবুজের পতাকা উড়ান মুশফিকুর রহিম। ছবি: ফিরোজ আহমেদ
খেলা ছেড়েছেন অনেক আগে, ফিটনেস না থাকায় বেড়েছে ভুঁড়ি। কোন বল বাউন্ডারির দিকে ছুটে আটকাতে গিয়ে পোহাতে হয়েছে হ্যাপা। তবু এসবের মধ্যেই যেন ছিল সবার অপার আনন্দ। মাঠের খেলাতে অবশ্য কেউ কাউকে ছাড় দেননি। 

২০ ওভারের ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে গিয়েছিল বিসিবি সবুজ দল। তাদের  করা ১৬৬ রান তাড়া করে ৬ উইকেটে জিতে যায় বিসিবি লাল দল।

লাল দলকে জেতাতে সবচেয়ে আগ্রাসী হান্নান সরকারের ব্যাট। জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনার ২৪ বলে ৬১ রান করে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। ব্যাটে বলে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

 একসঙ্গে জুটি বেঁধে অনেকক্ষণ ব্যাট করেছেন আকরাম খান আর মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। আকরামের ব্যাট থেকে এসেছে ২১, নান্নু করেন ৩১।

শেষ দিকে ব্যাটে ঝড় তুলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তার দুই ছক্কায় ১৮ বলে ২৮ রানে ম্যাচ শেষ হয়ে যায় ১১ বল আগেই।

সকালে সবুজ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে রফিকুল ইসলামের ব্যাটে।  হারুনুর রশিদ লিটন করেন  ২৭।  তিনটি করে উইকেট নেন খালেদ মাহমুদ সুজন ও জাকির হাসান।

প্রতি বছরই এমন আয়োজন হয়। বিজয় দিবসে শহীদ জুয়েল ও শহীদ মোশতাক একাদশ নামে খেলে দুদল। স্বাধীনতা দিবসে হয় লাল সবুজের ম্যাচ। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণের পাশাপাশি পুরনো বন্ধুদের একসঙ্গে মিলিত হওয়ার উপলক্ষও টেনে আনে আকরামদের, ‘আসলে খুবই ভালো লাগে। সবচেয়ে বড় কথা এই দেশটির জন্য যে ত্রিশ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন তাদের স্মরণ করা হয়। আর আমরা যারা আগে একসঙ্গে খেলতাম সবাই আবার একহতে পারি।একটা অন্যরকম আমেজ আসে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago