পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে সাম্প্রদায়িক সংঘাত

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ইস্তফা রুখলেন নরেন্দ্র মোদি

পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ঘটনায় ইস্তফা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে ইস্তফা না দেওয়ার অনুরোধ করেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়
সাম্প্রদায়িক সংঘাতের পর আসানসোলে গেলে পুলিশ ও জনতার বাধার মুখে পড়েন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ছবি: এনডিটিভি

পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ঘটনায় ইস্তফা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে ইস্তফা না দেওয়ার অনুরোধ করেন। রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে আসানসোলে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ঘটনার পরপরই ওই এলাকার স্থানীয় সাংসদ বাবুর সুপ্রিয় ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। টুইট করে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন তিনি।

বাবুল টুইট করেন- ‘'আসানসোলের ঘটনায় আমি মর্মাহত। পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম, সরে আসতে চেয়েছিলাম রাজনীতি থেকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করি। তাকে পদত্যাগের ইচ্ছা জানাই। কিন্তু, মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বারণ করেন প্রধানমন্ত্রী বরং উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেন। বলেন, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে!''

সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও ১৪৪ ধারার মধ্যেই মধ্যেই গত ২৯ মার্চ ভারি শিল্প ও সরকারি উদ্যোগ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় আসানসোলের কল্যাণপুরে পুলিশের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। একদল মানুষ বাবুল সুপ্রিয়কে তার নিজের সংসদীয় এলাকাতে ঢুকতে বাধা দেন। উত্তেজনা এতোটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সাংসদকে অক্ষত-অবস্থা ফেরাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় সেদিন। যদিও এই ঘটনায় রাজনৈতিক কাদা-ছোড়াছুড়ি শুরু হয় বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে।

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের প্রশাসন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ এবং একজন আইপিএস অফিসারকে ধাক্কা মারার অভিযোগে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে উত্তর আসানসোল থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় দু’টি মামলা দায়ের করে। ঘটনার পরই বাবুল সুপ্রিয়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ফোন করে খোঁজ নেন ৷

প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ রামের জন্ম তিথি উপলক্ষে আয়োজিত রাজ্য জুড়ে রামনবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকার মতো আসানসোলেও গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাধে। তবে ওই এলাকার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ চেহারা নেয়।

আসানসোলের ঘটনার জন্য স্থানীয় বিজেপির সাংসদ হিসেবে বাবুল সুপ্রিয়র দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছিল গত কদিন ধরে। এখনো আসানসোলে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এরই মধ্যে বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধি দল রবিবার আসানসোল পরিদর্শন করেছেন। শনিবার সেখানে গিয়ে সার্বিক অবস্থা দেখে আসেন রাজ্যটির রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠিও। পুরো পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সচিবালয় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে কয়েক দফায় বৈঠক হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago