‘চেষ্টা করছেন’ তবু হচ্ছে না তাসকিনের
ফর্ম হারানোয় সব ফরম্যাটের দল থেকেই বাদ পড়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। শ্রীলঙ্কায় নিদহাস কাপে ফিরেছিলেন টি-টোয়েন্টি দলে। এলোমেলো বল করে একাদশে জায়গা পাকা করতে পারেননি। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও একেবারে সাদামাটা তিনি। খুঁজে ফিরছেন চেনা ছন্দ।
গতির ঝড় তোলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন তাসকিন আহমেদ। চোখ জুড়ানো অ্যাকশনের সঙ্গে উইকেট নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করা। অভিষেকেই ৫ উইকেটে নেওয়ায় শুরুতেই পান জনপ্রিয়তা। পেস বোলিংয়েও মিলছিল সুদিনের আভাস। সেই তাসকিন এখন যেন হতবিহবল পথহারা কেউ।
এবার ঢাকা লিগে সেরা পাঁচ বোলারের চারজনই পেসার। ৩৫ বছর বয়সেও ৩৯ উইকেট নিয়ে মাশরাফি মর্তুজা হয়েছেন সেরা। পেসারদের রমরমা সময়েও সেরা ২০ বোলারের তালিকাতেও নাম নেই তাসকিনের। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে, ৯ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ১৬ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সে নিজেই অতৃপ্ত তরুণ এই পেসার, চেষ্টার ত্রুটি না দেখলেন দোষছেন ভাগ্যকে, ৯ ম্যাচে হয়তো ১৬ উইকেট পেয়েছি কিন্তু এটা যদি ২০-২২ হতো, ইকোনোমিটা ভাল হতো, তাহলে নিজের ভাল লাগাটা থাকতো। আসলে চেষ্টা তো করেছিলামই হয়নি। দুর্ভাগ্যবশত হয়নি।’
‘আমি এমন না প্র্যাকটিস করছি না বা চেষ্টা করছি না। সবই তো করছি। কপালটা এমনই যাচ্ছে ভাল বলও এজ হয়ে চার হয়ে যাচ্ছে। আসলে আমি মনে করি এটা শুধুই সময়ের ব্যাপার।’
উইকেট নেওয়ার চেয়েও তাসকিনকে ভোগাচ্ছে মার খাওয়া। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে উইকেট না পেলেও রান আটকানোর কাজটা করতে হয়। তাতেও বেহাল দশা তার। সেরা ৩০ বোলারের মধ্যে তার ইকোনমি রেটই সবচেয়ে খারাপ। ওভারপ্রতি ৬.১৮ করে রান দিয়েছেন তিনি। নিজেও টের পাচ্ছেন এই সমস্যা, ‘এটাই সত্য যে শেষ একবছর ইকোনোমনি রেটটা বেশি, ধারাবাহিকতা নেই। এটা আসলে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ থেকে শুরু হয়েছে। আমার মনে হয় আমার আরেকটু ফিট হতে হবে আর স্কিল নিয়ে কাজ করতে হবে।’
লিগের শেষ ম্যাচে তাসকিনকে একাদশেই রাখেনি আবাহনী। অবশ্য পিঠের ব্যথাতেই নাকি খেলেননি তিনি। এই ব্যথার কারণেই ১০ তারিখ থেকে শুরু হওয়া বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডে খেলবেন না এই পেসার। চোট থেকে সেরে কাজ করতে যান নিজের দুর্বলতা নিয়ে, ‘আশা করি সামনের দিনগুলো ভাল যাবে, এটাই আমার আশা। কঠোর পরিশ্রম করবো, কিছু ছোটখাটো ইনজুরি ছিল ওইগুলো ঠিক করে স্কিল নিয়ে কাজ করলে সামনে আবার ভাল কিছু হবে।
Comments