শীর্ষ খবর

‘সরকারের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বলেছে, কোটা সংস্কারে সরকারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আগামী ৭ মে পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে যে অংশটি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে তাদের অগ্রাহ্য করার জন্যও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ। ছবি: পলাশ খান

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বলেছে, কোটা সংস্কারে সরকারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আগামী ৭ মে পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে যে অংশটি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে তাদের অগ্রাহ্য করার জন্যও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে গতকাল যারা সরকারের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছিল আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কান্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এসব কথা বলেছে। সংবাদ সম্মেলনের সময় কয়েকশো শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান আন্দোলনকারী অপর অংশের সংবাদ প্রচার না করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শুরু থেকেই একটি অংশ আন্দোলন বানচাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।” আন্দোলনের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের লাঞ্ছিত করার ঘটনার জন্যও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

সংগঠনের আরেকজন যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা ৭ মে পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ করার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।”

গত রাতে সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যেরও প্রতিবাদ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। তারা বলেছেন, কৃষিমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে গত রবিবার দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটে। রবিবার সন্ধ্যা থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় পুলিশ ও সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ হামলা চালায়। সোমবারও ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যেই গতকাল বিকালে সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সাথে সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা জানায় সরকার তাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ৭ মে পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। তবে আন্দোলনকারীদের আরেকটি অংশ কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Are tides turning in Myanmar's civil war?

On October 27, the civil conflict in Myanmar took a significant turn.

5h ago