বার্সেলোনাকে বিদায় করে সেমিফাইনালে রোমা
প্রথম লেগে নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে আক্ষেপে পুড়েছিলেন ডি রসি ও মনোলাস। পরের লেগে এই দুজনই গোল ঢুকিয়েছেন প্রতিপক্ষের জালে। ঘরের মাঠে তাই বার্সেলোনাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এএস রোমা। অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে উঠে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে।
মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে হারায় রোমা। প্রথম লেগে নু ক্যাম্পে গিয়ে ৪-১ গোলে হেরেছিল রোমা। দুই লেগ মিলিয়ে দুলের সমান ৪-৪ গোল হলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল করার শেষ চারে পা রাখল ইতালিয়ান জায়ান্ট রোমা।
স্টেডিও অলিম্পিয়াকোর গ্যালারির পূর্ণ সমর্থন নিয়ে শুরু থেকেই ধারালো রোমার আক্রমণ। পুরো ম্যাচে দারুণ খেলাএডেন জেকো গোল পান ৬ মিনিটেই। ডি রসির ক্রস ধরে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করে উল্লাসে মাতেন।
প্রথমার্ধ গোল ওই একটিই। বার্সেলোনা মাঝ মাঠে বল দখলে রাখলেও শানাতে পারেনি ধারালো আক্রমণ। তাদের সেরা তারকা লিওনেল মেসিও ছিলেন বিবর্ণ। এলোমেলো ছুটেছেন লুইস সুয়ারেস।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে গোল পেতে আরও মরিয়া হয়ে উঠে রোমা। বারবার বার্সার রক্ষণ ভেদ করে বিপদজনক আক্রমণ তৈরি করছিলেন ডি রসি, এডেন জেকোরা। ৫৭ মিনিটে জেকোর সেরকম একটি প্রচেষ্টা ঠেকাতে গিয়ে ভুল করে বসেন জেরার্ড পিকে। জেকোকে বক্সের মধ্যে ফেলে খান হলুদ কার্ড, দলের বিপক্ষে যায় পেনাল্টি। পেনাল্টি থেকে প্রথম লেগে আত্মঘাতী গোল করার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করে রোমাকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন ডি রসি।
ডি রসিকে প্রায়শ্চিত্ত করতে দেখেই যেন জেগে উঠেন মনোলাস। ম্যাচের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর গোলটি তিনিই করেছেন। ৮২ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে হেডে বল জালে ঢুকিয়ে মেসিদের স্তব্ধ করে দেন তিনি।
সিটিকে বিধ্বস্ত করে সেমিতে লিভারপুল
দিনের আরেক ম্যাচে সিটির মাঠে গিয়েই সিটিজেনদের দাঁড়াতে দেয়নি লিভারপুল। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে জেতার পর ম্যানচেস্টার সিটির মাঠেও ২-১ ব্যবধানে জিতেছে অল রেডসরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে শেষ চারে উঠল ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
ম্যাচের শুরুতেই ব্রাজিলিয়ান গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সিটি। দ্বিতীয়ার্ধ দুই গোল করে ম্যাচ জেতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরাবর ভালো খেলা দলটি। ৫৬ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান মিশরিয় স্ট্রাইকার মোহাম্মদ সালাহ। ৭৭ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান রবার্তো ফিরমিনোর গোলে জয় নিয়েই সেমিতে উঠল লিভারপুল।
Comments