টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় শেখ হাসিনা
বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনে চলতি বছরের বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিউইয়র্ক-ভিত্তিক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনটির প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এই তালিকায় আরও রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, ভারতের ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলি, এবং ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে প্রতিবেদনটিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর দক্ষিণ এশীয় পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, “আমি শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রথম দেখা করেছিলাম ১৯৯০ এর দশকে। সেসময় তিনি বাংলাদেশে সামরিক শাসনের অবসানে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এরপর, সর্বশেষ তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন তিনি আরেকটি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এর পরের বছর তিনি নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন।”
“তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী তাঁর পিতার মতোই লড়াই করতে কখনোই ভয় পাননি। তাই, যখন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার হাতে নির্যাতিত হয়ে লাখ লাখ জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তখন তিনি এই মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলা করতে পিছপা হননি।”
দরিদ্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অতীতে ব্যাপক সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রবেশকে স্বাগত জানায়নি। কিন্তু, শেখ হাসিনা জাতিগত নিধনের শিকার এই মানুষদের ফিরিয়ে দেননি বলেও মীনাক্ষী তাঁর লেখায় উল্লেখ করেন।
তবে, এসবের জন্যে প্রশংসা পেলেও শেখ হাসিনার সমালোচনাও করা হয় লেখাটিতে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংগঠিত বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, বিরোধীদের ওপর অত্যাচার, সরকারের সমালোচনা সহ্য না করার কথাও তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান ছিল ৩০ এ। এছাড়াও, ম্যাগাজিনটির ‘রাজনীতিতে বিশ্বের ২২ জন ক্ষমতাধর নারী’-র তালিকায় শেখ হাসিনা নবম অবস্থানে ছিলেন।
Comments