সাদামাটা মোস্তাফিজ, হারল মুম্বাই

প্রথম তিন ওভারে বেশ আঁটসাঁটো বল করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে উইকেট নিলেও দিলেন ১৫ রান। রান তাড়ায় রাজস্থান রয়্যালসের চাপও তখন আলগা হতে শুরু। মোস্তাফিজদের পিটিয়ে রাজস্থানকে জমে উঠা ম্যাচ জিতিয়েছেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম।
ম্যাচ জেতানো গৌতমকে নিয়ে রাজস্থানের উল্লাস। ছবি: এএফপি

প্রথম তিন ওভারে বেশ আঁটসাঁটো বল করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে উইকেট নিলেও দিলেন ১৫ রান। রান তাড়ায় রাজস্থান রয়্যালসের চাপও তখন আলগা হতে শুরু। মোস্তাফিজদের পিটিয়ে রাজস্থানকে জমে উঠা ম্যাচ জিতিয়েছেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম।

রোববার রাতে জয়পুরে রাজস্থানের ঘরের মাঠে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স করেছিল ১৬৭ রান। ২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেট হারিয়ে সেই রান টপকেছে স্বাগতিকরা। দলের হারে ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ১ উইকেট পান মোস্তাফিজ।

১৬৮ রানের লক্ষ্যে শুরুটা নড়বড়ে ছিল রাজস্থানের। তবে তাদের পথ দেখিয়েছেন দারুণ ফর্মে থাকা সঞ্জু স্যামসন। ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে নিয়ে বড় জুটি গড়ে গড়েন জয়ের ভীত। পর পর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে মুম্বাইকে খেলায় ফিরিয়েছিলেন জাসপ্রিন্ট বোমরাহ। তবে গৌতমের ১১ বলে ৩৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে ম্যাচ বের করে নেয় আজিঙ্কা রাহানের দল।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বল পান মোস্তাফিজ। ওই ওভারে মাত্র ৫ রান দেন তিনি। অষ্টম ওভারে এসেও দেন ঠিক ৫ রান। ১৪তম ওভারে পরের স্পেলে এসে দেন ৯ রান। শেষ ওভারটি হতে পারত ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। আগের ওভারে বোমরাহ দুইকেট নেওয়ায় ম্যাচে তখন বেশ চাঙ্গা মুম্বাই। তবে ওই ওভারের প্রথম বলে হেনরিক ক্লেসেনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানালেও আটকাতে পারেননি গৌতমকে। মোস্তাফিজের ওভার থেকে চার-ছক্কা মেরে এই ডানহাতি ম্যাচ নিয়ে যান নিজেদের কব্জায়।

মাঝারি লক্ষ্যে পরিস্থিতির দাবি মেটানোর মতো ব্যাট করলেই চলত রাজস্থানের। দুই ওপেনারকে হারানোর পর তাই করে যাচ্ছিলেন সঞ্জু স্যামসন ও বেন স্টোকস। বিশেষ করে স্যামসন এদিনও ছিলেন সেরা ছন্দে। শুরু থেকেই খেলেছেন চোখ ধাঁধানো সব কাভার ড্রাইভ, পুল শটেও দেখিয়েছেন টেকনিকের মুন্সিয়ানার ছাপ। অন্য দিকে স্টোকস ছিলেন বরাবরের মতই আগ্রাসী। এই দুজনের ৭২ রানের জুটিতেই কাজটা সহজ হয়ে যায় রাজস্থানের। বোমরাহর বলে আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছেন এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি রান করা স্যামসন। তার আগেই অবশ্যই ২৭ বলে ৪০ করা স্টোকসকে দারুণ ইয়র্কারে ফেরত পাঠান হার্দিক পান্ডিয়া।

টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া মুম্বাইর ইনিংস এদিনও টেনেছেন সূর্যকুমার যাদব। রান পাননি আরেক ওপেনার এভিন লুইস। যাদব সঙ্গী পেয়েছিলেন ঈশান কিষানকে। দুজনের ১২৯ রানের জুটিতে বিশাল সংগ্রহের আভাসই মিলছিল। কিন্তু ৪৭ বলে ৭২ করা যাদব আর ৪২ বলে ৫৮ করা কিষানের আউটের পর আমূল পালটে যায় ম্যাচের চেহারা। অধিনায়ক রোহিত শর্মার আরও একবার ব্যর্থতার দিনে অবিশ্বাস্য মন্থর ব্যাট করেন কাইরন পোলার্ড। মুম্বাইকে চেপে ধরার দিনে সেরাটা দেখিয়েছেন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা জোফরা আর্চার। তিনি ছিলেন নজরকাড়া। ক্ষিপ্র গতি আর অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ রেখে কাবু করে রাখেন মুম্বাইর ব্যাটসম্যানদের। টানা দুই বলে হার্দিক পান্ডিয়া ও মিচেল ম্যাকগ্ল্যাকানকে বোল্ড করে জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও। ৪ ওভার বল করে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন এই ক্যারিবিয়ান পেসার।

তার তোপেই শেষ ৫ ওভারে প্রত্যাশার কাছাকাছিও রান উঠাতে পারেনি মুম্বাই। ম্যাচ শেষে যার ফল পেয়েছে রাজস্থান।

 

Comments