রাবি শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আজ (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মিলিত হয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
RU
২৩ এপ্রিল ২০১৮, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মিলিত হন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছবি: স্টার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আজ (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মিলিত হয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই দাবি জানানো হয়।

সকাল ১০টার দিকে শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে মৌন মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেসময় তাঁরা ২০১৬ সালে ‘জঙ্গি হামলায়’ নিহত অধ্যাপক রেজাউলের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানান।

ইংরেজি বিভাগ আয়োজিত মৌন মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে মুকুল মঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়।

ইংরেজি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের একজন শিক্ষার্থী টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এই মিছিলে অংশ নেন।

RU
২৩ এপ্রিল ২০১৮, ‘জঙ্গি’ হামলায় নিহত অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর কয়েকজন ছাত্র রাজশাহী শহরের শালবাগান এলাকায় যেখানে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল সেখান নীরবে আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন। সেসময় অধ্যাপক রেজাউলের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ এবং মেয়ে রেজওয়ানা হাসিন শতভি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশ নেন। ছবি: স্টার

আমাদের সংবাদদাতা জানান, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর কয়েকজন ছাত্র রাজশাহী শহরের শালবাগান এলাকায় নীরবে আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই স্থানেই অধ্যাপক রেজাউলকে হত্যা করা হয়েছিল।

অধ্যাপক রেজাউলের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ এবং মেয়ে রেজওয়ানা হাসিন শতভি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশ নেন।

এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহত শিক্ষকের ছবি সম্বলিত টি- শার্ট পড়েছিলেন। প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের কয়েকজন সন্দেহভাজন প্রধান হত্যাকারীর গ্রেফতার ও শাস্তি চেয়ে প্ল্যাকার্ড বহন করেন।

এরপর, তাঁরা সেই এলাকায় অবস্থিত নিহত শিক্ষকের বাড়িতে যান এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।

গত ১১ এপ্রিল রাজশাহীর একটি আদালত আগামী ৮ মে এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা দিবে বলে জানায়।

গোয়েন্দারা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আট জঙ্গির সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন উল্লেখ করে পুলিশ জানায়, অধ্যাপক রেজাউল দেশব্যাপী সংগঠিত জঙ্গি হামলার শিকার।

এই হত্যার কিছুক্ষণ পর আইএসের পক্ষ থেকে এর দায় স্বীকার করা হয়।

আটজন অভিযুক্তের মধ্যে একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র শরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। অভিযোগপত্রে রয়েছে, ‘খালিদ’ ছদ্মনামে শরিফুল এই হত্যার নীলনকশা সাজায়।

অভিযুক্তদের মধ্যে অন্য তিনজন পুলিশি অভিযানের সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যায়। অন্য অভিযুক্তরা এই মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago