শেষ ওভারে জিতে শীর্ষে উঠল সাকিবের দল
ব্যাটিংয়ে রান পাননি, বল হাতে দিতে পারেননি প্রয়োজনীয় ছোবল। সাকিব আল হাসানের নিষ্প্রভ থাকার দিনেও তবু হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে তার দল সানরাইজারস হায়দরাবাদ। পেসারদের জ্বলে উঠার দিনে রাজস্থান রয়্যালসকে তারা হারিয়েছে ১১ রানে। ৮ ম্যাচের ছয়টাতেই জিতে তাই উঠে গেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও।
জয়পুরের তপ্ত গরমে টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন কেইন উইলিয়ামসন। অধিনায়ক উইলিয়ামসন আর অ্যালেক্স হেলস মিলে দলকে পাইয়ে দেন ১৫১ রানের পুঁজি। শেষ ওভার পর্যন্ত চেষ্টা করেও সেই রান টপকাতে পারেনি রাজস্থান। প্রথম দেখাতেও হায়দরবাদের মাঠে হেরেছিল রাজস্থান। এবার হারল নিজেদের মাঠেও। মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও হায়দরবাদকে জেতাতে ভূমিকা রাখেন তাদের তিন পেসার।
শেষ দুই ওভারে ২৭ রান দরকার ছিল রাজস্থানের। সানরাইজার্সের পেসার সিদ্ধার্থ কাউল ১৯তম ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। শেষ ওভারে পেসার বাসিল থাম্পি নিতে দেননি ৯ রানের বেশি। শুরুতে আরেক পেসার সন্দীপ শর্মা বেধে দিয়েছিলেন সুর।
১৫১ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষকে আটকাতে দ্বিতীয় ওভারেই বল হাতে পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু রাজস্থানের ব্যাটসম্যানদের খুব একটা সমস্যায় ফেলতে পারেননি তিনি। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে সাকিব ৩০ রান দিয়েও কোন উইকেট পাননি।
রাজস্থানকে ভুগিয়েছেন বরং মিডিয়াম পেসার সন্দীপ শর্মা। তৃতীয় ওভারে রাহুল ত্রিপাটিকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রো এনে দেন তিনি। চার ওভার বল করে উইকেট ওই একটাই, কিন্তু খরচ করেছেন মাত্র ১৫ রান। আরেক পেসার সিদ্ধার্থ কাউল ৪ ওভারে ২৩ রানে পান ২ উইকেট।
১৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেই পালটা আক্রমণে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল রাজস্থান। ফর্মে থাকা সঞ্জু স্যামসন ওয়ানডাউনে নেমে আবারও তোলেন ঝড়। তার ৩০ বলে ৪০ রানের ইনিংস থামে সিদ্ধার্থ কাউলের বলে। খানিকপর বেন স্টোকসকে ইউসুফ পাঠান আর জস বাটলারকে ফিরিয়ে খেলা জমিয়ে তুলেন রশিদ খান। বাটলারকে আউট করলেও রশিদের বোলিং ফিগারও তার নামের সঙ্গে মাননসই নয়। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়েছেন তিনি।
এসবের মাঝে এক প্রান্তে বাধা হয়ে ক্রিজে ছিলেন অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। ৫৩ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিতই থেকে যান তিনি। দলের যখন দাবি ছিল ওভারপ্রতি দশের উপর রান উঠানো তখন রাহানে পারেননি বড় শট খেলতে। শেষ দিকে তিনি হাঁসফাঁস করায় চড়তে থাকা আস্কিং রেট আর নামাতে পারেনি তার দল।
এর আগে ইনিংসের মাঝপথে সানরাইজার্সও পড়েছিল ব্যাটিং ব্যর্থতায়। অ্যালেক্স হেলসের ৪০ আর উইলিয়ামসনের ৬৩ রানের পরও শেষ দিকে ঝড় তুলতে পারেননি কেউ। এদিনও পাঁচে নেমে ৬ বলে ৬ রান করে জোফরা আর্চারের ইয়র্করে বোল্ড হয়ে যান সাকিব। শেষ দিকে ঋদ্ধিমান সাহা দলকে পার করান দেড়শো।ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ দিকে পাওয়া রানটাও সানরাইজার্সের কাজে লেগেছে বেশ।
Comments