ঢাকার মেট্রোরেলের জন্য দুই চুক্তি সই
রাজধানীতে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লি. আজ দুটি জয়েন্ট ভেঞ্চার (যৌথ উদ্যোগ) কোম্পানির সাথে চুক্তি করেছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক ও ওই দুই জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির প্রতিনিধিরা পৃথক দুই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। মেট্রোরেলের প্যাকেজ-৫ ও প্যাকেজ-৬ এর জন্য চুক্তিগুলো করা হলো। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিতিতে ঢাকায় একটি হোটেলে চুক্তি দুটি স্বাক্ষরিত হয়।
এই দুই প্যাকেজের আওতায় আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার ও কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেলের স্টেশন ও ভায়াডাক্ট নির্মিত হবে। এর মধ্যে প্যাকেজ-৫ এর চুক্তি হয়েছে আব্দুল মোনেম লি. ও অ্যাবে নিক্কো জেভি’র সাথে। আর প্যাকেজ-৬ এর চুক্তি হয়েছে সুমিতোমো মিতসুই কনসট্রাকশন কোম্পানির সাথে। দুই চুক্তিতে ব্যয় ধরা হয়েছে যথাক্রমে ১,৮৫৫ কোটি টাকা ও ২,৩৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে আব্দুল মোনেম বাংলাদেশের ও অপর কোম্পানি দুটি জাপানের।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পরিবহন ও সেতু বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় দ্রুত যাত্রী পরিবহন ও যানজট নিরসনে ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে উচ্চাভিলাষী এই প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রথম পর্যায়ে যে নয়টি স্টেশন নির্মাণ করা করা হবে তার তিনটি থাকবে উত্তরায়, দুটি মিরপুরে ও পল্লবীতে। কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া ও আগারগাঁওয়ে একটি করে স্টেশন হবে।
উত্তরা, মিরপুর, রোকেয়া সরণি, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও হোটেল, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর ও তোপখানা রোড হয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেল নেটওয়ার্কে মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় মাটি পরীক্ষা, রুট নির্ধারণ ও ১৬টি স্টেশনের পরীক্ষানিরীক্ষা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) তথ্য অনুযায়ী ঢাকায় মোট ১৪টি ট্রেন উভয় দিকে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করবে। প্রতিটি ট্রেনের ছয়টি করে বগি থাকবে। এর সবগুলোই হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রতি তিন মিনিট অন্তর অন্তর স্টেশনগুলোতে ট্রেন থামবে।
মেট্রোরেলে চড়ে একজন যাত্রী উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথ ৩৫ মিনিটে যেতে পারবেন।
Comments