বাইরে বসে দলের হার দেখলেন মোস্তাফিজ
আগের ম্যাচের মতো এদিনও একাদশে জায়গা পাননি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি না থাকলেও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আগের ম্যাচ জিতেছিল। এবার মোস্তাফিজ বাইরে বসেই দেখলেন দলের হার।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তলানির দুই দলের লড়াইয়ে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ১৪ রানে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। আগে ব্যাট করে কোহলিদের করা ১৬৭ রানের জবাবে ২০ ওভার ব্যাট করে ১৫৩ রানে থামে মুম্বাই। মোস্তাফিজের বদলি হিসেবে খেলা বেন কাটিং এদিও ব্যাটে বলে কিছু করে দেখানোর সুযোগ পাননি।
টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল মুম্বাই। শুরুতে কুইন্টেন ডি ককের উইকেট ফেললেও মানান বোহরা তুলেন ঝড়। পরে পিটিয়েছেন ব্র্যান্ডন ম্যাককুলামও। ৩১ বলে ৪ ছক্কায় মানানের ৪৫ রানের ইনিংস থামে মায়াঙ্ক মারকান্ডের স্পিনে। ২৫ বলে ৩৭ করে রান আউটে কাটা পড়েন ম্যাককুলাম।
অধিনায়ক বিরাট কোহলি আভাস দিয়েও পারেননি ইনিংস বড় করতে। তার ২৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস থামান হার্দিক পান্ডিয়া। হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলে বেঙ্গালুরুর ইনিংসও। শেষ দিকে কলিন ডি গ্রুমের ১০ বলে ২৩ রানের ইনিংসে লড়াইয়ের পূঁজি পায় বেঙ্গালুরু। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১১ রান দেওয়া মিচেল ম্যাক্লাগান শেষ ওভারে দিয়ে দেন ২৩ রান। তাতেই হয়েছে বড় পার্থক্য।
মোস্তাফিজের বদলি হিসেবে আগের ম্যাচে নেমে মাত্র ১ ওভার বল পেয়েছিলেন বেন কাটিং। তাতে ১৪ রান দেওয়ার পর এই ম্যাচে আর বল হাতেই পাননি তিনি। ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ৮ নম্বরে। ৬ বলে ১২ রান করলেও দলের চাহিদা তখন ছিল আরও অনেক বেশি।
রান তাড়ায় ১৬৮ নাগালের মধ্যেই ছিল। তবে টিম সাউদি, উমেশ যাদবরা মিলে নাজেহাল করে দেন মুম্বাইর টপ অর্ডার। ৪৭ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে খাদের কিনারে চলে যায় তারা। সেখান থেকে ৪২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সঙ্গী ক্রুনাল পান্ডিয়াও পাচ্ছিলেন রান। তবে চড়তে থাকা আস্কিং রান রেটের দাবি মেটাতে পারেননি তারা।
৮ ম্যাচের ছয়টাই হেরে পয়েন্ট টেবিলে আট দলের মধ্যে সাত নম্বরে আছে মুম্বাই। সমান ম্যাচে তৃতীয় জয় তোলে কোহলিরা উঠে গেছে পাঁচে।
Comments