‘শান্তিচুক্তি হলেও কোরিয়াতে মার্কিন সেনা থাকবে’

কোরীয় উপদ্বীপে শান্তির যে সুবাতাস বইছে তার ধাক্কায় সরছে না দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপিত মার্কিন সেনা ছাউনি- এমনটিই জানানো হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে।
US base in South Korea
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়োজিত মার্কিন সেনা। ছবি: এএফপি ফাইল ফটো

কোরীয় উপদ্বীপে শান্তির যে সুবাতাস বইছে তার ধাক্কায় সরছে না দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপিত মার্কিন সেনা ছাউনি- এমনটিই জানানো হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে।

আজ (২ মে) দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের একজন সহযোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরও দেশটিতে মার্কিন ঘাঁটিগুলো আগের মতোই রয়ে যাবে। আমেরিকান ঘাটি থাকবে কি থাকবে না, তা অন্য কোনো কিছুর উপর নির্ভর করবে না। সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হতে হলে, তা নেওয়া হবে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করে।

দ্য কোরিয়া টাইমস জানায়, সেই সহযোগী বলেন, ‘সরকার মনে করে দেশটিতে মার্কিন সেনার প্রয়োজন রয়েছে।’

দুই কোরিয়ার একত্রীকরণের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টা শান্তিচুক্তির পর দেশটিতে মার্কিন সেনাদের থাকার আর প্রয়োজন নেই- এমন মন্তব্যের খানিক পরেই প্রেসিডেন্টের সহযোগীর মন্তব্যটি গণমাধ্যমে আসে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল (১ মে) বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর সম্ভাব্য বৈঠকটির স্থান ও তারিখ আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে।

ট্রাম্প কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার বিষয়ে আগামী তিন-চার সপ্তাহের মধ্যে কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান বলেও জানান। এই বৈঠকের স্থান হিসেবে দুই কোরিয়ার সীমান্ত এলাকা বা সিঙ্গাপুরকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলেও বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমরা বৈঠকের বিষয়ে কাজ করছি এবং আশা করি, বৈঠকের স্থান ও তারিখ আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে।”

এদিকে, কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে পারেন এমন কথাও চাউর হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে।

Comments