নাকাল বল নিয়ে কাজ করছেন রুবেল
এবার আইপিএলে পেসারদের নিয়মিত অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে নাকাল বল। আঙুলের ডগায় জোর দিয়ে ফেলা ডেলিভারিতে ভড়কেও যাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরাও। রুবেল হোসেন মনে করেন তার করা বাটারফ্লাই ডেলিভারিটাই এখন পরিচিত হয়েছে নাকাল বল নামে। আর সেই ডেলিভারির অনুশীলন তিনি করে আসছেন অনেক দিন থেকেই। বোলিংয়ের এই বৈচিত্র্য আরও ভালোভাবে রপ্ত করতে আরও কাজ করছেন তিনি।
গত কয়েকদিন আবহাওয়ার বদলের জেরে জ্বরে ভুগেছেন রুবেল। খেলতে পারেননি বিসিএলের শেষ রাউন্ডগুলো। সুস্থ হয়ে শুরু করেছেন ফিটনেস ট্রেনিং। শনিবার মিরপুরে এসে কথা বলেছেন পেসারদের নতুন অস্ত্র নাকাল বল নিয়ে, ‘নাকাল বল নিয়ে আমি অনেক আগে থেকেই অনুশীলন করছি। নিউজিল্যান্ড সফরে আমি হয়তো দুয়েকটা বলে এই ডেলিভারির চেষ্টা করেছিলাম। সেগুলো ভালোই হয়েছিল। তবে এই ডেলিভারি দেওয়াটা আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার।’
কীভাবে কি করতে হয় তার কলাকৌশল সব জানেন। কেবল সেটা আরও ধারালো করা বাকি, ‘এখন আইপিএলে তো সবাই এক ডেলিভারিটা নিয়মিত করছে। আর মোটামুটি সবাই সফলও হচ্ছে। এটা খুব ভালো একটা বৈচিত্র্য। এই ডেলিভারি নিয়ে আমার আসলে আরেকটু কাজ করতে হবে।’
নাকাল বলকে রুবেল চেনেন বাটারফ্লাই ডেলিভারি নামে। হাত ঘোরানোর গতি ঠিক রেখেও কীভাবে বল ধীরে হয়ে যায় আগাগোড়া জানা আছে রুবেলের, ‘সেটাই তো (বাটারফ্লাই ডেলিভারি) এই নাকাল বল। আঙুলের ডগায় বল আটকে একই আর্ম স্পিডে ডেলিভারি দিতে হয়ে। আঙুলের ডগায় থাকায় বল ছুড়ার পর গতি কম থাকে।’
আগে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যেত পেসার বান্ধব উইকেট। এখন আইসিসি ইভেন্ট মানেই রানের খেলা। পেসারদের জন্য দিন দিন কাজটা হচ্ছে কঠিন। আগামী ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও ব্যতিক্রম হবে না। এটা বোঝে নিয়েই প্রস্তুত হতে চান রুবেল, ‘এখন শুধু ইংল্যান্ড নয় সব জায়গাতেই বড় রানের উইকেট হয়। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার সময় ভেবেছিলাম সেখানে পেস সহায়ক বাউন্সি উইকেট থাকবে। সেখানে কিন্তু আমরা দেখেছি, উইকেট সেখানে ফ্ল্যাট ছিল। সবাই চায়, রান হোক। জমজমাট খেলা হোক সবাই চায়। দর্শকরা চায়, আইসিসিও তেমনই চায়।’
‘বাংলাদেশের তো আমরা সবসময়ই খেলি। এখানেও তিনশ রান হয়। দেশের বাইরেও তিনশ রান হয়, হবে- আমাদের সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ইংল্যান্ডে যে বাউন্স উইকেট থাকবে বা বোলারদের জন্য উইকেটে খুব সহায়তা থাকবে এমন হবে না। এখন আমাদের পেসারদের সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
Comments