প্রতিভার খোঁজে নেমেছে বিসিবি

জাতীয় দলের খারাপ সময় আসলে দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন শক্ত না বলে রব উঠে। হাহাকার আছে লেগ স্পিনার, চায়নাম্যান বোলারের, ঝড় তুলতে পারা ব্যাটসম্যানের অভাবও টের পাওয়া যায় টি-টোয়েন্টিতে। পাইপলাইনে খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়াতে এবার তাই বেসরকারি ক্রিকেট একাডেমিগুলোর দিকে নজর দিয়েছে বিসিবি। রাজধানীর ৩২টি ক্রিকেট একাডেমিকে নিয়ে বসছে একাডেমি কাপ।
Academy Cup-bcb
সোমবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি গেম ডেভোলাপমেন্ট চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ। ছবি: বিসিবি

জাতীয় দলের খারাপ সময় আসলে দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন শক্ত না বলে রব উঠে। হাহাকার আছে লেগ স্পিনার, চায়নাম্যান বোলারের, ঝড় তুলতে পারা ব্যাটসম্যানের অভাবও টের পাওয়া যায় টি-টোয়েন্টিতে। পাইপলাইনে খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়াতে এবার তাই বেসরকারি ক্রিকেট একাডেমিগুলোর দিকে নজর দিয়েছে বিসিবি। রাজধানীর ৩২টি ক্রিকেট একাডেমিকে নিয়ে বসছে একাডেমি কাপ।

৩২ দল নিয়ে ২০ মে থেকে নক আউট পদ্ধতিতে শুরু হবে এই আসর। বিসিবির লক্ষ্য এই টুর্নামেন্ট থেকে ১৫/২০ জন তরুণকে খুঁজে বের করা। যাদের দেওয়া হবে প্রশিক্ষণের সুযোগ। সেরা চার দলকে গেম ডেভোলাপমেন্টের আওতায়ও নিয়ে আসতে চায় বিসিবি।

গেম ডেভোলাপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন এবার পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে হতে যাচ্ছে এই আয়োজন। সফল হলে আগামীতে বাড়বে এর ব্যাপ্তি, ‘প্রথমবারের মতো বিসিবি একাডেমি কাপ আয়োজন করতে যাচ্ছি। এবার পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আয়োজন করবো। ঢাকায় এখনো প্রচুর একাডেমি আছে। তাদের মধ্য থেকে আমরা ৩২টি একাডেমি নিয়ে বিসিবি একাডেমি কাপ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

‘আমাদের উদ্দেশ্য এখান থেকে ভালো মানের কিছু খেলোয়াড় তুলে এনে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। প্রায় ৫-৬ সপ্তাহের মতো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা। যে চারটা দল সেমিফাইনালে উঠবে, বিসিবি চেষ্টা করবে তাদের গেম ডেভল্যাপম্যান্টের আন্ডারে নিয়ে আসার।’

দেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার কারণে বেসরকারি উদ্যোগে রাজধানীতে গড়ে উঠেছে অনেক একাডেমি। তবে সেসব একাডেমিতে তরুণদের কেবল অনুশীলনেরই ব্যবস্থা আছে। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে তারা পাচ্ছে ম্যাচ খেলার সুযোগ।

খালেদ মাহমুদ জানালেন গেম ডেভলাপমেন্টের কর্মকর্তারা টুর্নামেন্ট দেখে প্রতিভা খুঁজে বের করবেন, ‘একাডেমিগুলোতে অনুশীলন করার সুযোগ থাকলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই। এর মাধ্যমে একাডেমির ক্রিকেটাররা একটি টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাবে। প্রতিযোগিতা মূলক ক্রিকেট না খেলতে পারলে ট্যালেন্ট দেখানোর সুযোগ থাকে না। এর মাধ্যমে ছেলেরা নিজেদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবে। ওখানে আমাদের নির্বাচকরা থাকতে পারে কিংবা গেম ডেভল্যাপম্যান্টের লোক থাকতে পারে, তাদের কাজটা হবে ১৫-২০ জন কিংবা বেশি পরিমাণে তরুণ প্রতিভাবানকে খুঁজে বের করা।’

ব্যতিক্রমী প্রতিভা পেলেই তাদের সরাসরি তুলে এনে মূলস্রোতে কাজে লাগানোর চিন্তা বিসিবির। গেম ডেভোলাপমেন্ট চেয়ারম্যান মাহমুদ আরও নির্দিষ্ট করেই বললেন নিজেদের অভাব আর চাহিদা, ‘আমরা অনেকদিন ধরেই লেগ স্পিনার খুঁজছি। বিশ্বের সবদেশেই ভালো একজন লেগ স্পিনার থাকলেও আমাদের দেশে নেই। ওখানে আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ভালো চায়নাম্যান বোলার নেই। আমদের ৮-৯ ভালো ব্যাটসম্যান লাগবে। আমরা  এগুলোর দিকে কিছুটা নজর রাখবো। তাদের যদি কিছুটা সামর্থ্যও থাকে, তাদের আমরা পিক করবো।

ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের আওতার বাইরে থাকা ক্রিকেটাররাই পাচ্ছেন এই টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ। টুর্নামেন্টে খেলার বয়সসীমাও বেধে দিয়েছে বিসিবি। ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে থাকা ক্রিকেটাররাই খেলতে পারবেন একাডেমি কাপে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago