পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে পাথর খনিতে ডিনামাইট বিস্ফোরণে নিহত ১৩

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং এর পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমান্তবর্তী শিকারিপুর নামক এলাকায় একটি পাথর খনিতে ডিনামাইট বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং এর পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমান্তবর্তী শিকারিপুর নামক এলাকায় একটি পাথর খনিতে ডিনামাইট বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

কলকাতার একটি নিউজ চ্যানেল (এবিপি আনন্দ) স্থানীয় আদিবাসী সংগঠনের বরাত দিয়ে এই ঘটনায় ১৩জন খাদান শ্রমিকের মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে।

তবে তারা এও বলছে যে, খনির গহ্বর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের দেহ সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

নিহতরা অধিকাংশ পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মহম্মদপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা।

বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাতে। এখনও পর্যন্ত খনির ভেতরে আটকে আছেন বেশ কয়েকজন মানুষ। আজ (১০ মে) সকালে খাদানের ভেতর থেকে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। খাদানের ভেতরে কয়েকজনের মৃতদেহ পড়ে আছে বলে জানাচ্ছে কলকাতার একটি সংবাদ-ভিত্তিক চ্যানেল। মৃতদের অধিকাংশই বীরভূমের মহম্মদপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা।

অভিযোগ উঠছে, এই পাথরের খনি থেকে অবৈধভাবে কয়লা তোলা হচ্ছিল, যেহেতু সরকারি অনুমোদন নেই তাই এই খনিতে পাথর ফাটাতে ব্যবহার করা ডিনামাইট বোমাও অবৈধভাবে আনা হয়েছিল সেখানে। বিস্ফোরক আইনে মামলার ভয়েই খাদানের কয়লা উত্তোলনকারীরা শ্রমিকদের মৃতদেহগুলো সরিয়ে ফেলেছে।

শুধু ঝাড়খণ্ড রাজ্য নয়, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার পাকুড়, রাজগ্রাম, গোপালগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকায় রয়েছে পাথরের খাদান। এই সব খনি থেকে বৈধ-অবৈধভাবে হাজার হাজার টন পাথরও তোলা হচ্ছে রোজ। মূলত রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েই বছরের পর বছর খাদান দখল করে ডিনামাইট ফাটিয়ে পাথর ও কয়লা তোলার অভিযোগও রয়েছে।

Comments