অস্ট্রেলিয়ার ‘না’ বলা দুর্ভাগ্যজনক: বিসিবি

বাণিজ্যিকভাবে লাভবান না হলেও অনেক দেশকে আতিথিয়তা দেয় বাংলাদেশ, বড় বোর্ড হওয়ার পরও অস্ট্রেলিয়া তা না করে সিরিজ বাতিল করে দেওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক মনে করছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
Nizamuddin Chowdhury
বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী , ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাণিজ্যিকভাবে লাভবান না হলেও অনেক দেশকে আতিথিয়তা দেয় বাংলাদেশ, বড় বোর্ড হওয়ার পরও অস্ট্রেলিয়া তা না করে সিরিজ বাতিল করে দেওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক মনে করছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।

এফটিপি অনুযায়ী চলতি বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। তবে বেশ কিছুদিন থেকেই সিরিজটি না হওয়া নিয়ে চলছিল গুঞ্জন। বুধবার সে গুঞ্জন সত্যি করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়ে দেয় বাংলাদেশকে ওই সময় আমন্ত্রণ জানাতে পারছে না তারা। কারণ হিসেবে ওই সময় দেশটিতে ভরা ফুটবল মৌসুম থাকায় ব্রডকাস্টারদের অনাগ্রহের কথা জানায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এটা মাথায় রেখে বিকল্প প্রস্তাবও পাঠিয়েছিল বিসিবি, তবে তার উত্তর দেয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

বৃহস্পতিবার বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন প্রতিক্রিয়া। মনে করিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক না হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ অনেক দেশকে আগে হোস্ট করেছে, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। তারা তাদের দিক থেকে দেখছে, বাণিজ্যিকভাবে কতটা উপযোগী হবে এটা তারা হিসেব করছে, এটা অবশ্যই দুঃখজনক।’

তবে সিইও মনে করিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্যকভাবে লাভজন না জেনেও নিজেদের আয়োজনের কথা, ‘আমরা বিভিন্ন সময় আমরা যেসব সিরিজ করি। সব সিরিজই যে লাভ জনক হয় তেমন না। অনেক দেশকে হোস্ট করতে হয়। আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট রক্ষা করতে গিয়ে অনেক দেশকে হোস্ট করতে হয়েছে। অর্থনৈকভাবে খুব একটা লাভজনক থাকি না। তো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যদি এটা এফোর্ট করতে পারে আমরা আশা করব যে বড় বড় ক্রিকেট বোর্ডও এটা করবে।’

এখন পর্যন্ত একবারই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। তাও প্রায় ১৫ বছর আগে ২০০৩ সালে। এরপর দুবার বাংলাদেশ সফর করে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে শেষবার  নিরাপত্তার কারণে অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশে আনতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় বিসিবিকে। তবে এতকিছুর পরও দুই বোর্ড সম্পর্ক আগের জায়গায় আছে বলে মনে করেন সিইও, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নানা সময়ে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পরে আমাদের সঙ্গে ওদের দ্বিপাক্ষিক প্রতিশ্রুতি ছিল। আম্পায়ার এডুকেশন, প্লেয়ার এডুকেশন এইগুলাতে তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে। তারা এবারও বলেছে, আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক যেটা আছে সেটা থাকবে, আগামীতে তা আরও উন্নত হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago