কলাবাগানে খেলে একটাকাও পাননি আশরাফুলসহ চার ক্রিকেটার

nabil samad
কলাবাগান থেকে পুরো পারিশ্রমিক না পাওয়া ক্রিকেটার নাবিল সামাদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। ছবি: মাজহার উদ্দিন অমি

ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ থেকে এবার অবনমন হওয়া কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিরুদ্ধে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ক্লাবের কোন ক্রিকেটারই পারিশ্রমিকের পুরো টাকা বুঝে পাননি। এরমধ্যে মোহাম্মদ আশরাফুলসহ চারজনকে দেওয়া হয়নি এক টাকাও।

রোববার বিসিবির প্রধান নির্বাহী (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছে নালিশ জানাতে আসেন সাত ক্রিকেটার। সিইওর সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেন ব্যাটসম্যান তাসামুল হক  ও বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদ।

দলের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় লিগের মাঝপথেই ১৫ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়ার কাগজ ক্রিকেটারদের ধরিয়ে দিয়েছিল ক্লাবটি। এখন তারা ৪০ শতাংশ টাকাই কেটে নেওয়ার কথা বলছে বলে অভিযোগ ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারদের দাবি পারফরম্যান্স খারাপের কথা বলে টাকা কেটে নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। 

অভিযোগ নিয়ে বোর্ডে আসা সাত ক্রিকেটারের হয়ে কথা বলেন তাসামুল হক। সিইওর কাছ থেকে সুর্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়ার কথা জানান তিনি,  ‘আমরা আগেই বোর্ডকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলাম। বোর্ড অভিযোগ পাওয়ার পর ক্লাবের কাছে চিঠি পাঠায়। ক্লাব কর্তৃপক্ষ নাকি ফিরতি চিঠি পাঠিয়েছে। দুই পক্ষ আলোচনায় বসবে। কবে নাগাদ এর সুরাহা হবে সেটি বলেননি সিইও। আমরা চেয়েছি যাতে দ্রুত সমাধান হয়। সামনে ঈদ, আর আমাদের রুটি-রুজির অংশ তো প্রিমিয়ার লিগের পারিশ্রমিক।’

‘দলের পারফরম্যান্স খারাপ হলে টাকা কর্তন করবে এমন নিয়ম কোথাও নেই। আমরা বোর্ডকে সেটা বলেছি। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়।’

তিনি জানান, আমাদের কাউকেই ৫০ শতাংশের বেশি টাকা দেওয়া হয়নি। অথচ লিগ শেষ হয়েছে অনেকদিন হলো। এরমধ্যে মোহাম্মদ আশরাফুল, জসিমউদ্দিন, আবু বক্কর অনিক ও সঞ্জীত সাহা দ্বীপ পাননি এক টাকাও। তবে আশরাফুলের ব্যাপারটি এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে আছে বলে জানান নাবিল সামাদ, 'তিন-চার দিন আগ পর্যন্ত জানি আশরাফুল টাকা পায়নি। তবে এরমধ্যে পেয়ে থাকলে বা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেলেও আমরা জানি না।'  

এবার প্রিমিয়ার লিগে মাত্র চার পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের নিচে থেকে প্রথম বিভাগে নেমে যায় ঐতিহ্যবাহী ক্লাব কলাবাগান। অবনমনের পর ক্রিকেটারদের পাওয়া মিটাতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ ক্লাবটির বিরুদ্ধে। 

লিগ শুরুর আগে তিন কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার নিয়ম বেঁধে  দিয়েছিল আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। তাতে লিগ শুরুর আগে ৫০ ভাগ, চলাকালীন সময়ে ২৫ ভাগ করে এবং লিগ শেষ হওয়ার পর অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ টাকা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু লিগ শেষ হওয়ার পরও পাওয়া টাকার জন্যে ঘুরছেন কলাবাগানের ক্রিকেটাররা। 

এ ব্যাপারে বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী নিষ্পত্তির চেষ্টা চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন, 'খেলোয়াড়রা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে  যে ক্লাবগুলো বোর্ডের সঙ্গে কাজ করে, তারাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করবো যে, যে অভিযোগ এসেছে, তা সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সাথে আলোচনা করে যতো দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করবো।

নির্ধারিত সময়ে পেমেন্ট করা হয়নি বলেই অভিযোগ এসেছে। আমরা ক্লাবের নীতিনির্ধারক যারা আছেন, তাদের সঙ্গে সরাসরি বসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করবো।'

Comments

The Daily Star  | English
CAAB pilot licence irregularities Bangladesh

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

11h ago