ছাত্রলীগের ‘হুমকির’ প্রতিবাদে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ

anti quota demo at dhaka university
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কোটা বিরোধীদের বিক্ষোভ। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থক ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হুমকির প্রেক্ষিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে ‘হুমকিদাতাদের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন।

আজ (১৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে প্রায় এক হাজার আন্দোলনকারী তাঁদের দুজন নেতার প্রতি ছাত্রলীগের কথিত হুমকির নিন্দা জানান।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কোটা সংস্কারের দাবিতে গঠিত সংগঠন ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর দুজন প্রধান নেতা নূরুল হক নূর এবং রাশেদ খানকে গতরাতে ছাত্রলীগের কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলে হুমকি দেন।

পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক বলেন, “ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পী, মহসিন হলের ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান এবং চারুকলা অনুষদ শাখার সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুল ইসলামের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা আমাদের গতরাতে হুমকি দেন।”

তিনি জানান, “আমরা প্রোক্টরকে এবং জাতীয় হেল্পলাইনে ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু, কোনও সাড়া পাইনি। শেষে মহসিন হলের প্রভোস্টের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।”

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে নূরুল হক হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনারা মনে করবেন না যে শিক্ষার্থীরা দুর্বল। যদি আপনারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খেলায় নামেন তাহলে মনে রাখবেন তারা যে আগুন ছড়িয়ে দিতে পারে সে আগুনে আপনারা পুড়ে ছাই হয়ে যাবেন।”

পরিষদের অপর যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আল মামুন অভিযোগ করে বলেন, “গতরাতে যারা আমাদের আক্রমণ করেছিলেন তারা সবাই কোটার সুবিধাভোগী। তারা আমাদের ফেসবুক পেজ হ্যাক করেছিলেন।”

কথিত হুমকিদাতাদের শাস্তি এবং আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিও জানানো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে।

এছাড়াও, শাহবাগ থানায় নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়রি করতে গিয়েছিলেন উল্লেখ কেরে তারা বলেন, পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

7h ago