চোট নিয়ে আর ভয়ের কিছু দেখছেন না মিরাজ
নিদহাস কাপ খেলার পরই কাঁধের চোটে পড়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার চোটের ধরন অনেকটা মোস্তাফিজুর রহমানের মতো। মোস্তাফিজের অস্ত্রোপচার লাগলেও কাটছেরা থেকে পার পাচ্ছেন মিরাজ। শতভাগ ফিট হয়ে আফগানিস্তান সিরিজ খেলার আশা তার।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে ২৯ মে ভারতে যাবে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৩ জুন। তার আগেই শতভাগ সেরে উঠার আশা তার, ‘ইনজুরি নিয়ে যে বিষয়ে ভয় পাচ্ছিলাম, তা আর নেই। সার্জারি লাগবে কিনা, ভয় পাচ্ছিলাম। আশা করি, লাগবে না। চেষ্টা করছি শতভাগ ফিট হতে। চেষ্টা করছি। মারিও (ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন), বায়েজিদ (বায়েজিদুল ইসলাম) ভাই খুব হেল্প করেছে। দেবাশীষ (দেবাশীষ চৌধুরী) স্যারও হেল্প করেছেন। আশা করি সব ঠিক সময়েই সুস্থ হয়ে যাবো।’
মিরাজের সমস্যা ছিল বল ছোঁড়ায়। বেশ কয়েকদিনের পুনর্বাসনের পর এখন সে সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠার কথা বললেন এই অফ স্পিনার, ‘এখন থ্রোয়িং করছি। এখনো আমি শতভাগ জোরে করছি না। ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছি। বোলিংয়ে যে সমস্যা ছিলো, তা এখন আর নাই। থ্রোয়িংয়ে এখন ২৫ মিটার পর্যন্ত ঠিকঠাক করছি। জিম ও রিহ্যাব করে সব ঠিক করতে হবে।’
বুধবারও প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের ফিটনেস ক্যাম্প হয়েছে মিরপুরে। রানিং আর জিম করে ক্রিকেটাররা ব্যস্ত হয়ে যান সাবেক কোচ গর্ডন গ্রিনিজকে সম্মান জানাতে। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জেতানো এই কোচকে এবারই প্রথম দেখলেন মিরাজ। ৯৭ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাঁক বদলের ওই টুর্নামেন্টের সময় ছিলেন তিন বছরের শিশু, এখন খেলেন জাতীয় দলে, ‘বাংলাদেশ যখন ৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জিতে। তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। আমার বয়স ছিলো তিন বছর।’
‘উনার কথা শুনেছি। উনি বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন। সে দিন শুনলাম তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। এরপর অনুষ্ঠান হলো। উনি বললেন, কষ্ট করতে হবে, হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে, এটা করলে ভালো হবে।’
Comments