সাকিবের বিবর্ণ দিনে শোধ নিল কলকাতা
পুরনো দল কলকাতার বিপক্ষে প্রথম দেখায় বাজিমাত করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ফিরতি ম্যাচে হয়েছে উলটো। ব্যাটিংয়ে কিছু করার সুযোগ ছিল কম, পারেনওনি। বল হাতে দিনটি কেটেছে হতাশায় মোড়ানো। আগেই কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করা সাকিবরা প্রথম পর্ব শেষ করেছে হার দিয়ে।
শনিবার রাতে নিজেদের মাঠে হারের শোধ হায়দরাবাদে এসে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১৭৩ রান তাড়া করে ৫ উইকেট হাতে রেখেছে জিতেছে তারা। এই ম্যাচ জিতে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে দিনেশ কার্তিকের দল। তবে হারলেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ থেকে গেছে পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরেই।
বোলারদের উপর ভরসা রেখে এদিনও টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় সানরাইজার্স। দুই ওপেনারের ভালো শুরুর পর ফর্মে থাকা কেইন উইলিয়ামসনও দেখিয়েছেন ঝলক। তবে শুরুর মতো শেষ করতে পারেনি তারা। হুটহাট উইকেট খুইয়ে রান বাড়েনি স্লগ ওভারে।
শিখর ধাওয়ান আর শ্রীবাস্তব গোস্বামী নবম ওভারেই এনে দিয়েছিলেন ৭৯ রান। জুটি ভেঙেছে ২৬ বলে ৩৫ করা গোস্বামীর আউটে। ওয়ানডাউনে নেমে তাণ্ডব শুরু করেন উইলিয়ামসন। তার মাত্র ১৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংস থামে ক্যারিবিয়ান জাভন সিয়ার্লসের বলে। ঠিক ৫০ রান করে প্রাসিধ কৃষ্ণার বলে শেষ হয় ধাওয়ানের ইনিংস। চার নম্বরে মানিষ পান্ডে করেন ২৫ রান। বাদ বাকিদের রান যেন টেলিফোন ডিজিট। ব্যতিক্রম কেবল সাকিব। তবে তিনিও করতে পেরেছেন কেবল ১০ রান। ৭ নম্বরে নেমে ৭ বলে ১০ করে ইনিংসের দুই বল আগে ফেরেন বাংলাদেশের তারকা।
ব্যাটিংয়ে কিছু করে দেখানোর খেদ বল হাতে মেটানোর সুযোগ ছিল সাকিবের। মঞ্চটাও ছিল তৈরি। পাওয়ার প্লের মধ্যে চতুর্থ ওভারেই বল পান তিনি। প্রথমে সুনিল নারিনের হাতে চার-ছয় খেয়ে শুরু। চার নম্বর নারিনকে ফাঁদে ফেলে করেন উল্লাস। তবে ওই শেষ। উইকেট পেলেও দিয় দেন ১২ রান। পরের দুই ওভারে তার হাত থেকে খসেছে আরও ১৮ রান। তিন ওভারে ৩০ রান দিয়ে দেওয়ায় এদিন আর সাকিবের কোটা পূরণ করার সাহস পাননি উইলিয়মসন।
সাকিবের বাজ দিনে সাদামাটা ছিলেন বাকিরাও। কেবল রশিদ খানের বলে খাবি খেয়েছে কলকাতার ব্যাটসম্যানরা। তবে তার চার নম্বর ওভার থেকে ১৫ রান নিয়ে ঠিকই পুষিয়ে দিয়েছে তারা।
ম্যাচের সুর বেধে দেন আসলে কলকাতার দুই ওপেনারই। মাত্র ১০ বলের ইনিংসেই ২৯ তুলে ফেরেন নারিন। ক্রিস লিন আউট হয়েছেন সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে। তার ৪৩ বলের ইনিংসে ছক্কা তিনটা, চার মেরেছেন এক হালি। ৫২ রানের উদ্বোধনি জুটির পর দ্বিতীয় উইকেটেও হয়েছে আনায়াস রান। ভূমিকা রেখেছেন রবিন উত্থাপা। দলের হারের শঙ্কা মিইয়ে যাওয়ার পর ৪৫ রান করে ফেরেন তিনি। আন্দ্রে রাসেল, নিতিস রানাকে আউট করে শেষটাও কিছুটা উত্তেজনার আভাস দিয়েছিলেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ও সিদ্ধার্থ কাউল। তবে দিনেশ কার্তিকের ব্যাটে ওসব পাত্তা পায়নি। কলকাতা অধিনায়ক ২২ বলে ২৬ করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।
এই জয়ে সব ম্যাচ শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করল কলকাতা। কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ফের সাকিবের দেখা পেতে চেন্নাই সুপার কিংসের শেষ ম্যাচের ফলের দিকে ভরসা করতে হবে তাদের।
Comments