‘বিরতিটা ছোট না আমার কাছে’
সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই, ওয়ানডে শেষ খেলছেন গত বছর জুনে। আর টি-টোয়েন্টিটা তারও আগে, গত বছরের এপ্রিলে। মোসাদ্দেক হোসেন রঙিন পোশাকে ফিরলেন এক বছর পর। চোখের ইনফেকশন আর ছন্দহীনতায় বিবর্ণ হতে থাকা তার সময়টাও আবার ফুরফুরে হতে শুরু করেছে।
রোববার আফগানিস্তান সিরিজের ১৫ জনের দলে ঘোষণার সময় বিশ্রামে ছিলেন এই অলরাউন্ডার। বিকেল তিনটায় এলেন অনুশীলনে। দুঃসময় পার করে এসেছেন তাই এক বছরের বিরতিও বেশ লম্বা মনে হয়েছে তার কাছে, ‘বিরতিটা ছোট না আমার কাছে। অনেক বড়, প্রায় এক বছর পর আমি আবার রঙিন পোশাকে খেলব বাংলাদেশ দলের হয়ে। আমার কাছে এটা ভালো লাগারই বিষয়। নতুন সুযোগ আমার জন্য।’
ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলেছেন। ম্যাচ বাঁচানো ব্যাটিং করেও বাদ পড়েন ঢাকা টেস্ট থেকে। মাসখানেক আগে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ দেওয়া হয় মোসাদ্দেককে। নির্বাচকরা তবু ফের আস্থা রেখেছেন তার উপর, এই দুঃসময়ে নিজের উপরও বিশ্বাস ছিল তার, ‘নিজের উপর বিশ্বাসটা আমারও আছে। একজন খেলোয়াড়ের ভালো সময়, খারাপ সময় যাবে এটাই স্বাভাবিক। আমার খারাপ সময় গেছে। সামনে কি হবে বলতে পারব না। তবে আমার চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চটা দেওয়ার।’
এই বিরতির পর আত্ম উপলব্ধির জায়গায় উচ্চ বিলাস রাখতে চান না তিনি। বাস্তবতা বুঝে এগুতে চান ধীর পায়ে, ‘যদি আমি চিন্তা করি অনেক কিছুই করে ফেলব তাহলে এটার ফলাফল কিছুই আসবে না। আমি যদি চিন্তা করি আমি আমার জায়গাতে থাকব, আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে হয়ত এখান থেকে অনেক ভালো কিছু করতে পারব।’
আফগানিস্তান সিরিজে মোসাদ্দেকের ভূমিকা যতটা ব্যাটসম্যান হিসেবে, ততটাই বোলার। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন স্পষ্ট করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাকআপ হিসেবে যাচ্ছেন তিনি। সেটা বুঝে প্রস্তুত মোসাদ্দেকও, ‘যেকোনো ম্যাচে আমি যখন বোলিং করি আমি তখন ভাবি যে আমি বোলার হিসেবে খেলছি। বল হাতে পেলে চিন্তা করি কিভাবে ডট বল করা যায়। ব্যাটসম্যানকে পড়ে বল করার চেষ্টা করি।’
Comments