মাদকবিরোধী অভিযান: ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরও ১৫ জন নিহত

দেশজুড়ে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে গতরাতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধে আরও ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ১৬ দিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৩ হলো।

গতরাতে নিহতদের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ বিরোধকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে 'বন্দুকযুদ্ধে' পাঁচ জন ও অন্যরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। 

মাগুরা শহরতলীর বাটিকাডাঙ্গা মাঠপাড়া এলাকা থেকে রাত ২ টার দিকে তিনজন মাদক ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতরা হচ্ছেন, শহরের ইসলামপুর পাড়ার রাজ্জাক ঢালীর ছেলে রায়হান ঢালী ওরফে বিট্রিশ (৩০), ভায়না এলাকার মহিউদ্দিন চোপদারের ছেলে বাচ্চু চোপদার (৫৫) ও শহরের নতুন বাজার বৈরাগী পাড়ার খোকন অধিকারীর ছেলে কিশোর অধিকারী ওরফে কালা।

পুলিশ সুপার খান মো. রেজোয়ান জানান, শহরতলীর বাটিকাডাঙ্গা মাঠপাড়া এলাকায় গুলির শব্দ শুনে টহল পুলিশ সেখানে গিয়ে তিন ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় সেখান থেকে ৩২০ গ্রাম হেরোইন, এক কেজি গাঁজা, ছয় বোতল ফেনসিডিল, ছয়টি রাইফেলের গুলি, আটটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ দ্রুত তিনজনকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

রায়হান ওরফে বিট্রিশ ও কিশোর অধিকারী ওরফে কালার নামে ১০টি ও বাচ্চু চোপদারের নামে ৭টি মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে বলে এসপি রেজোয়ান জানান।

মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মমতাজ মজিদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তিন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে।

বেনাপোলের বড় আচড়া সীমান্তে আজ বুধবার ভোররাতে কথিত বন্দুক যুদ্ধে দুজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, এরা মাদকের ব্যবসায়ী। ভোর ৪টার পর এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামের শাহজাহানের ছেলে লিটন মিয়া (৪২) ও অজ্ঞাত পরিচয় একজন।

বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ জানায়, ভোর ৪টার দিকে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনেন। নিহত দুজনেরই মাথা গুলিবিদ্ধ ছিল।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, বুধবার ভোরে বেনাপোলের বড় আচড়া সীমান্ত এলাকায় দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

‘পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সশস্ত্র মাদক বিক্রেতারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দুটি মরদেহ মেলে।’

হাসপাতালে উপস্থিত ব্যক্তিরা বলেছেন, গুলিতে দুইজনেরই মাথার খুলি উড়ে গেছে।

ওসি আরও জানান, নিহত লিটন মিয়া একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ১০ কেজি গাজা, একটি পিস্তল, দুটি গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার জানান, হাসপাতালে আনার আগেই গুলিবিদ্ধ ওই দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। তবে নিহতদের পরিবারের খোঁজ মেলেনি।

Comments

The Daily Star  | English

US strikes on Iran: what you need to know

Trump said the United States struck three main Iranian nuclear sites: Fordo, Natanz and Isfahan, with the former being hit with a "full payload of bombs."

55m ago