মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ব্রিটেনে বাংলাদেশি দম্পতি দোষী সাব্যস্ত

বাংলাদেশে এনে জোর করে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশি এক দম্পতিকে গতকাল দোষী সাব্যস্ত করেছে ব্রিটেনের আদালত।
ব্রিটেনের আদালত

বাংলাদেশে এনে জোর করে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশি এক দম্পতিকে গতকাল দোষী সাব্যস্ত করেছে ব্রিটেনের আদালত।

পারিবারিকভাবে জোর করে বিয়ে দেওয়া প্রতিরোধে ২০১৪ সালে একটি আইন করে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। নতুন ওই আইনেই বাংলাদেশি দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে এই আইনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। আগামী ১৮ জুন তাদের বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করবেন আদালত।

এই আইনের সমর্থকরা বলছেন, এর মাধ্যমে জোর করে বিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী একটি বার্তা দেওয়া হলো।

মেয়েটির পরিচয় প্রকাশ না করে ব্রিটেনের ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস জানায়, ১৮ বছরের মেয়েকে নিয়ে ওই দম্পতি ২০১৬ সালে বাংলাদেশে এসেছিল। মেয়েটি ভেবেছিল পরিবারের সঙ্গে দেশে ছুটি কাটাতে যাচ্ছে সে। কিন্তু বাংলাদেশে এসেই গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নিকটাত্মীয়দের মধ্যে এক ছেলের সঙ্গে বিয়ের জন্য বাবা-মা তাকে চাপ দিতে শুরু করে। এমনকি বিয়ে না করলে তাকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়।

এই ঘটনার কথা কৌশলে মেয়েটি ব্রিটেনে তার প্রেমিককে জানিয়ে দেয়। ওই ছেলে পরে ব্রিটিশ পুলিশকে এ ব্যাপারে জানালে কয়েক দিনের মধ্যেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে ব্রিটেনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

জোর করে বিয়ে দেওয়া ব্রিটেনে দণ্ডনীয়। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটির আইনে।

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

Now