জোরালো হচ্ছে ন্যায়বিচারের দাবি

​কক্সবাজার জেলা যুবলীগের দুজন শীর্ষ নেতা গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, মাদকবিরোধী অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত একরামুল হককে তারা গত ১২/১৩ বছর থেকে চেনেন। একরাম মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন কোনো আলামত তারা কখনই পাননি। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান।
টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক
একরামুল হক। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার জেলা যুবলীগের দুজন শীর্ষ নেতা গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, মাদকবিরোধী অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত একরামুল হককে তারা গত ১২/১৩ বছর থেকে চেনেন। একরাম মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন কোনো আলামত তারা কখনই পাননি। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান।

গত রাত ৯টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় বৈঠক শেষে কক্সবাজার যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘একরাম নিজেই সচ্ছল ছিলেন না। তাকে কখনই মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে দেখা যায়নি।’ কক্সবাজার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হকও ২০ মিনিটের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বাহাদুর বলেন, তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একরাম হত্যার সুবিচারের জন্যে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। একরাম দীর্ঘদিন টেকনাফে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই যুব সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন।

বাহাদুর বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন ইতিমধ্যে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন।

এছাড়াও, যারা ‘মিথ্যা-বানোয়াট’ খবর প্রকাশ করে একরামকে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ এবং ‘বিপুল সম্পদের অধিকারী’ হিসেবে দেখিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ওই যুবলীগ নেতারা।

বাহাদুর আরও জানান, প্রকাশিত একটি খবর বলা হয়েছে যে একরামের অনেকগুলো বাড়ি-গাড়ি রয়েছে। ‘কিন্তু আমরা একরামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সেরকম কোনো কিছু পাইনি।’

একরামের পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা করারও অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

গত ৩১ মে একরামের স্ত্রী আয়েশা বেগম কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ‘ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে।’ সে সময় তিনি তার দাবির পক্ষে চারটি অডিও ক্লিপ উপস্থিত সাংবাদিকদের দেন।

এর আগে, ২৭ মে র‍্যাব দাবি করে, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একরাম নিহত হন।

একরামের মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৈচৈ সৃষ্টি হলে সরকার এ বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত ৪ জুন নিহত একরামের স্ত্রী আয়েশার সঙ্গে কথা বলেন। তবে কী কথা হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

একরামের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগের টেকনাফ শাখার কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, একরামের নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আজ সংগঠনের নির্বাহী কমিটির একটি জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সেই সভায় পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে।

তারা জানান, একরাম হত্যার পেছনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ আব্দুর রহমান বদির হাত রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখার জন্যে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে।

আরও পড়ুন:

[অডিওসহ] একরামুলকে ‘ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago