করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকায় অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। অর্থাৎ ব্যক্তিগত বার্ষিক আয় আড়াই লাখ টাকার মধ্যে হলে আয়কর প্রযোজ্য হবে না।
তবে ব্যক্তি পর্যায়ে নারী, ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ধাপে ধাপে কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে। নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতা জন্য তিন লাখ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতা চার লাখ ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা চার লাখ ২৫ হাজার টাকায় অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব এসেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা কি হবে তা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি যে উন্নত দেশগুলোতে করমুক্ত আয়সীমা সাধারণভাবে মাথাপিছু আয়ের ২৫ শতাংশের নীচে থাকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে করমুক্ত আয়সীমা সাধারণত মাথাপিছু আয়ের সমান বা তার কম থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে করমুক্ত আয়ের সীমা মাথাপিছু আয়ের প্রায় দ্বিগুণের মতো। অর্থাৎ, আমাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের তুলনায় অনেক বেশি। করমুক্ত আয়ের সীমা বেশি হলে কর প্রদানে সক্ষম বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি করজালের বাইরে থেকে যান। এতে করের ভিত্তি দুর্বল থাকে। সার্বিক বিবেচনায় আমি আগামি বছরে করমুক্ত আয়ের সাধারণ সীমা ও করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।
কোম্পানি করদাতা ব্যতীত অন্যান্য করদাতাদের জন্য করহার
|
বিদ্যমান (টাকায়) |
প্রস্তাবিত (টাকায়) |
---|---|---|
(ক) করমুক্ত আয়ের সীমা |
|
|
করদাতা |
|
|
সাধারণ করদাতা |
২ লাখ ৫০ হাজার |
অপরিবর্তিত |
নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতা |
৩ লাখ |
|
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতা |
৪ লাখ |
|
গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতা |
৪ লাখ ২৫ হাজার |
|
(খ) সাধারণ করহার |
|
|
মোট আয় |
|
করহার |
প্রথম ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর - |
শূন্য |
অপরিবর্তিত |
পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর - |
১০ শতাংশ |
|
পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর - |
১৫ শতাংশ |
|
পরবর্তী ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর - |
২০ শতাংশ |
|
পরবর্তী ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর- |
২৫ শতাংশ |
|
অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর - |
৩০ শতাংশ |
Comments