দায়িত্ব পেয়ে ‘গর্বিত’ রোডসের চোখ বিশ্বকাপ ফাইনালে

Steve Rhodes
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ স্টিভ রোডস। ছবি: স্টার

বাংলাদেশের দায়িত্ব  পাওয়ার পরই উচ্ছ্বসিত ব্রিটিশ কোচ স্টিভ রোডস শুনিয়েছেন বড় স্বপ্নের কথা। ইংলিশ কন্ডিশনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দারুণ করার রেশ ধরে রাখতে চান সামনের বিশ্বকাপে। ইংলিশ কন্ডিশনে আরেকটি দুর্দান্ত টুর্নামেন্টের ছবি এখনি ভাসছে তার চোখে।

গত কয়েকদিন থেকে প্রধান কোচ হিসেবে রোডসের দায়িত্ব নেওয়ার গুঞ্জন চলছিল। বৃহস্পতিবার রোডস বাংলাদেশে আসার পর তা আনুষ্ঠানিক রূপ পায়। এই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক দলের দায়িত্ব পেয়ে প্রথমেই জানিয়েছেন নিজের উচ্চাশা, ‘প্রথমত, সবাইকে বলতে চাই বাংলাদেশের ক্রিকেটে যুক্ত হতে পেরে আমি কতটা গর্বিত। এটা দারুণ এক ক্রিকেট জাতি। বাংলাদেশ দল অভাবনীয় সমর্থন পায় এখানে। হতাশ করলে তা আকার নেয় সবাই স্ফুলিঙ্গের মতো। ব্যক্তিগতভাবে এই বড় ভূমিকা সুযোগ পেয়ে নিজেকে অসম্ভব সম্মানীত বোধ করছি।’

কাউন্টি দল উস্টারশায়ারের দায়িত্ব পালন করা এই কোচ খেলোয়াড়ি জীবন অবশ্য বর্ণাঢ্য নয়। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ১১ টেস্ট আর ৯ ওয়ানডে। খেলোয়াড়ি জীবনে নামডাক না থাকলেও কোচ হিসেবে রোডস অভিজ্ঞ। সাকিব আল হাসান উস্টারশায়ারে খেলার সময়  সেখানকার ক্রিকেট ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের আগে কাজ করেছেন নিজ দেশের জাতীয় দলের হয়ে।

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দায়িত্ব ছাড়ার পর প্রায় ৮ মাস প্রধান কোচ নেই বাংলাদেশের। কিছুটা অগোছালো অবস্থায় থাকা বাংলাদেশ দলকে সাজানোর চ্যালেঞ্জের রোডোসের সামনে। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি করেছে বিসিবি। এর আগে আছে ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডে হতে যাওয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট ঘিরে ভীষণ আশাবাদী তিনি, ‘বিসিবি প্রধানকেও আমি বলছিলাম যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ খুব ভালো করেছে। প্রমাণ করেছে ইংলিশ কন্ডিশনে তারা ভাল খেলতে জানে। ওই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে যাওয়া সত্যি দারুণ অর্জন। আমরা যদি সে পর্যায়ে আবার যেতে পারি বা তারচেয়ে এগুতে পারি... আমি এখন ভাবতে পারি বাংলাদেশ ফাইনাল গেলে কি দারুণ ব্যাপার হবে। এটা দুর্দান্ত একটা টুর্নামেন্ট হতে পারে।’

বিসিবির সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন তিনি, পরে পরামর্শক হয়ে আসা গ্যারি কারস্টেনও তার জন্য করেছেন সুপারিশ। মনে কোন দ্বিধা না রেখেই তাই রাজী হয়ে যান রোডস। গ্যারি কারস্টেন তিন ফরম্যাটে তিন কোচের ভাবনাও দিয়ে গিয়েছিলেন বিসিবিকে। তবে রোডস আপাতত একাই সব সামলে নিতে প্রস্তুত,  ‘আমি কোন বড় সমস্যা দেখি না (তিন ফরম্যাটের কোচিং করাতে) । আমি জানি গ্যারি এই ব্যাপারে ভেবেছে। বহু কোচই সব ফরম্যাটে কাজ করে। আমি কঠোর পরিশ্রম করা একজন মানুষ। আমার মনে হয় সব সংস্করণে কাজ করার উদ্যম আমার আছে।’

 

Comments

The Daily Star  | English

Tax-free income limit may rise to Tk 3.75 lakh

The government is planning a series of measures in the upcoming national budget to alleviate the tax pressure on individuals and businesses, including raising the tax-free income threshold and relaxing certain compliance requirements.

13h ago