[ভিডিও] বাংলাদেশে পূর্ব-পশ্চিম ভাগ তৈরি হয়েছে

বাংলাদেশে পর্ব-পশ্চিম ভাগ তৈরি হয়েছে। একদিকে সিলেট-চট্টগ্রাম-ঢাকা অন্যদিকে, বরিশাল-খুলনা-রাজশাহী। একদিকে, উন্নততর বাংলাদেশ, অন্যদিকে, দরিদ্রতর বাংলাদেশ।

সিপিডি-র বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বক্তব্য

বাংলাদেশে পর্ব-পশ্চিম ভাগ তৈরি হয়েছে। একদিকে সিলেট-চট্টগ্রাম-ঢাকা অন্যদিকে, বরিশাল-খুলনা-রাজশাহী। একদিকে, উন্নততর বাংলাদেশ, অন্যদিকে, দরিদ্রতর বাংলাদেশ।

প্রবৃদ্ধি হলেও বৈষম্য বৃদ্ধির কারণে গরিব মানুষ আরও গরিব হয়েছে, ধনী হয়েছে আরও ধনী।

গত পাঁচ বছরে দেশের সবচেয়ে গরিব ৫ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে ৬০ শতাংশের মতো। অন্যদিকে, দেশের সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশ মানুষের আয় বেড়েছে ৫৭.৪ শতাংশ।

দেশে এই মুহূর্তে প্রবৃদ্ধি, রেমিটেন্স, রপ্তানি আয় ভালো। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। আমাদের সামাজিক সুরক্ষার জায়গাটি শক্তিশালী হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে কিছু মধ্য-মেয়াদি সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

রাজস্ব আয় দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু বার্ষিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন দুর্বলতা দৃশ্যমান।

কৃষকরা প্রণোদনামূলক দাম পাচ্ছেন না। বৈদেশিক আয়-ব্যয়ের খাতে বড় ধরণের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ও বিনিময় হারের ওপর চাপ পড়ছে। ফলে খাদ্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে।

অল্প অল্প করে শিল্পখাতের ভূমিকা বাড়ছে। অবকাঠামোর জন্যে বিনিয়োগ বাড়ানো হয়েছে। মানবসম্পদ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং খাদ্য নিরাপত্তাকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। তবে সমস্যার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ এখনো স্থবির হয়ে রয়েছে। কর্মসংস্থানে প্রবৃদ্ধির ও আয় বৃদ্ধির হারও দুর্বল। উৎপাদনশীলতা খুবই কম। মানব সম্পদের গুণগতমানও খুব দুর্বল।

সাম্প্রতিককালে দেশে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি আয়-ভোগ-সম্পদের বৈষম্য।

আগামী অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮ শতাংশ ধরা হয়েছে। বিনিয়োগের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা যদি কার্যকর করতে হয় ১৫০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি বিনিয়োগ করতে হবে। এর ফলে পুঁজির উৎপাদনশীলতা কমে যাবে। এবং মুদ্রাস্ফীতির যে ৫.৬ শতাংশ হার ধরা হয়েছে তাতে আমরা গভীর সংশয় প্রকাশ করছি।

সাধারণ বা গরীব মানুষ যেটা খায় সেটাতে সুবিধা দেওয়া হয়েছে এটাকে আমরা ঠিক মনে করি। যে জায়গাতে সমস্যা দেখা দিয়েছে সেটা হলো, ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে আগে ১,১০০ বর্গফুটে কর দিতে হতো দেড় শতাংশ; ১,১০০ থেকে ১,৬০০ বর্গফুটে ছিল আড়াই শতাংশ- এখন দুটোতেই দুই শতাংশ হারে কর দিতে হবে। ফলে যিনি ছোট ফ্ল্যাট কিনছেন তার ওপর চাপ পড়লো। আমরা বারবার বলছি চাপগুলো কিন্তু, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত অথবা বিকাশমান মধ্যবিত্তের উপর পড়ছে।

 

(আজ ৮ জুন রাজধানীর একটি হোটেলে সিপিডি-র বাজেট পরবর্তী পর্যালোচনায় সংস্থাটির বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বক্তব্যের অংশ বিশেষ)

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

40m ago