‘ইয়াবা রাজকুমারী’ গ্রেপ্তার

​কিশোরী বয়সেই একজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ফারহানা আক্তার ওরফে পাপিয়ার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর পরই এই অবৈধ ব্যবসায় হাত পাকতে শুরু করে তার।
ইয়াবা ব্যবসায়ী দম্পতি পাচু ও পাপিয়া ওরফে রাজকুমারী। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরী বয়সেই একজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ফারহানা আক্তার ওরফে পাপিয়ার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর পরই এই অবৈধ ব্যবসায় হাত পাকতে শুরু করে তার। বিশেষ করে মেয়েদের মাদক ব্যবসায় যুক্ত করার মাধ্যমে মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ‘রাজকুমারী’ নামে পরিচিতি পান পাপিয়া।

মাদক ব্যবসা নির্বিঘ্ন রাখতে বহু ক্ষমতাধর ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় চলতেন পাপিয়া। এভাবেই ধীরে ধীরে কথিত এই রাজকুমারী এক পর্যায়ে রাজধানীর মাদক সম্রাজ্ঞী হয়ে ওঠেন।

পাপিয়ার মাদক চক্রটি ছিল মূলত মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে। রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় সাম্রাজ্য বিস্তার করে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হয় তার হাত। মাদক ব্যবসা করে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই তিনি এখন রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেখেরটেকের শ্যামলী হাউজিং সোসাইটির বেশ কয়েকটি বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক। চড়েন দামি এসইউভি গাড়িতে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে থাকে আগ্নেয়াস্ত্র।

গত বৃহস্পতিবার রাতে লালবাগে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের জালে ধরা পড়েন পাপিয়া দম্পতি। এসময় তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি, একটি বন্দুক, পাঁচটি বুলেট ও ঘরে তৈরি নয়টি বোমা উদ্ধার করা হয়।

প্রায় ডজনখানেক মামলার আসামী পাপিয়া এর আগেও বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যেকবারই সহজেই জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন। তার স্বামী জয়নাল আবেদিন (২৯) ওরফে জয় ওরফে পাচু অন্তত ১০টি মামলার পলাতক আসামি।

মোহাম্মদপুরেই পাপিয়ার জন্ম। তার বাবার নাম আবু হানিফ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার কিশলয় গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে সে এসএসসি পাশ করে। দশম শ্রেণিতে থাকা অবস্থাতে পাচুর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রি-টেস্ট পরীক্ষার আগেই পাপিয়ার পরিবারের অসম্মতিতে তারা বিয়ে করে।

বিয়ের তিন মাসের মধ্যে পাপিয়া জানতে পারেন তার স্বামী মাদক ব্যবসায়ী। কিন্তু স্বামীকে এই অবৈধ পথ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা না করে তিনি নিজেও মাদক ব্যবসায় যুক্ত হন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago