‘সময়টা এখন বেলজিয়ামের’

বিশ্বকাপে ব্রাজিল, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স কিংবা আর্জেন্টিনার মতো বড় নাম নয় বেলজিয়াম। নেই দারুণ কোন ঐতিহ্য। সেই ১৯৮৬ সালে শেষ চারে খেলেছিলো দলটি। ওইটাই সেরা সাফল্য। কিন্তু তারপরও এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার বেলজিয়াম। কারণ সাম্প্রতিক সময়ের সেরা বেশ কিছু খেলোয়াড় রয়েছে দলটিতে। তাই এবারই কিছু করে দেখানোর সময় বলে মনে করছেন দলের চেলসি তারকা এডেন হ্যাজার্ড।
belgium
পর্তুগালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে হ্যাজার্ড। ছবি : রয়টার্স

বিশ্বকাপে ব্রাজিল, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স কিংবা আর্জেন্টিনার মতো বড় নাম নয় বেলজিয়াম। নেই  দারুণ কোন ঐতিহ্য। সেই ১৯৮৬ সালে শেষ চারে খেলেছিলো দলটি। ওইটাই সেরা সাফল্য। কিন্তু তারপরও এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার বেলজিয়াম। কারণ সাম্প্রতিক সময়ের সেরা বেশ কিছু খেলোয়াড় রয়েছে দলটিতে। তাই এবারই কিছু করে দেখানোর সময় বলে মনে করছেন দলের চেলসি তারকা এডেন হ্যাজার্ড।

চেলসির হয়ে গত কয়েক বছর ধরেই দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন হ্যাজার্ড। চলতি বছরও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে এফএ কাপ জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের আক্রমণ ভাগের নেতৃত্ব দিবেন তিনিই। আর হালের সেরা মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইন। ম্যানচেস্টার সিটির ঐতিহাসিক লিগ জয়ে মূল অবদানই এ খেলোয়াড়ের। মাঝমাঠের দায়িত্ব থাকছে তার উপর।

শুধু এ দুইজনই নয়, দুর্দান্ত খেলছেন নাপোলির স্ট্রাইকার ড্রিস মারটেন্স, ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু। ম্যানসিটি অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানি ও বার্সেলোনার থমাস ভারমালিনের মতো ডিফেন্ডারদের নিয়ে গড়া ডিফেন্সও বেশ শক্তিশালী। গোলবারে থাকছেন চেলসির বিশ্বস্ত গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। তাই এ দলটি বিশ্বকাপ জিতলে তাতে চমকের কিছুই থাকছে না বলেই মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।

আর এ কারণেই বিশ্বকাপে এবার নিজেদের সময় দেখছেন হ্যাজার্ড, ‘আমার মনে হয় আমরা সেরা ছন্দে আছি। ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন (ডি ব্রুইন), ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রোমেলু (লুকাকু), চেলসির আমি ও থিবো (কোর্তোয়া), আমরা সবাই বড় ক্লাবে খেলি, আমাদের সবার খুব ভালো একটা মৌসুম যাচ্ছে। তাই যদি দারুণ কিছু একটা করতে চাই, তার সময়টা এখনই।’

গত আসরে হ্যাজার্ডের হাত ধরেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিলো বেলজিয়াম। এবারও তার দিকে বিশেষ নজর থাকছে তাদের। কিন্তু এখন বেলজিয়াম দল কারও উপর নির্ভরশীল নয় বলেই জানান হ্যাজার্ড, ‘দলে কেউ এডেন হ্যাজার্ডের উপর নির্ভরশীল নয়। সবাই সবার জন্য কাজ করছে। দলের সবাই গুরুত্বপূর্ণ।

‘আমি স্কোর করতে পারি। এবং নির্ণায়ক হতে পারি। দলে সবসময় একজন খেলোয়াড় থাকে যে অন্য সবার চেয়ে বেশি নজরে থাকে। আর এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি মনে করি সব খেলোয়াড়ই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আমি যদি এক ম্যাচে খারাপ খেলি তাহলে অন্য কেউ স্কোর করবে অথবা প্রয়োজনীয় কাজটা করে দিতে পারে।’

নির্দিষ্ট কোন খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীল নয় বেলজিয়াম। সব বিভাগেই তারকার ছড়াছড়ি। রিজার্ভ বেঞ্চও দারুণ। আর এটাই বেলজিয়ামের সেরা সময় বলে মনে করেন হ্যাজার্ড, ‘সময়টা এক, দুই কিংবা চার বছর নয়। আমার মনে এখনই আমাদের সময় একত্রে দারুণ কিছু করে দেখানোর।’

   

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago