আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

​এমপিওভুক্তির দাবিতে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকায় প্রেসক্লাব এলাকায় এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর বুধবার লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছবি: আমরান হোসেন

এমপিওভুক্তির দাবিতে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এমপিওভুক্তির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টানা অনশন করেছিলেন তারা। এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দাবিতে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন এই আন্দোলন করছে।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী টানা চতুর্থ দিনের মতো বুধবার সকাল ১১টার দিকে জাতীয় এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে শিক্ষকদের এখান থেকে সরে যেতে বলে। এতে শিক্ষকরা রাজি না হলেও সেখানে থেকে তিনজন নারী শিক্ষকসহ পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। পরে দুপুরের দিকে আটক শিক্ষকদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বেসরকারি যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারের দেওয়া বেতন পান সেসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত বলা হয়। এই পদ্ধতিতে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মূল বেতনের সরকার প্রদান করে। মূল বেতন ছাড়াও নাম মাত্র পরিমাণে হলেও তারা অন্যান্য ভাতা পান।

এমপিওভুক্তির দাবিতে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের আন্দোলন। ছবি: আমরান হোসেন

আন্দোলনকারীরা জানান, দেশে বর্তমানে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৪২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে এক দশকেরও বেশি সময় থেকে বিনা বেতনে পাঠদান করছেন এমন শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।

ছয় বছর বন্ধ থাকার পর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সর্বশেষ ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এক হাজার ৬২৪টি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজকে এমপিও ভুক্ত করে। “তহবিল সংকট” দেখিয়ে তখন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে আর এমপিও ভুক্ত করা হয়নি। বাদ পড়া শিক্ষকরা তখন থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

40m ago