সংখ্যায় সংখ্যায় আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ড ম্যাচ

লিওনেল মেসিকে দেখতে মুখিয়ে আছেন রাশিয়ার দর্শকেরা। অবশেষে আজ আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে নামছেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। তবে তার আগে দেখে নেয়া যাক এই ম্যাচকে ঘিরে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিসংখ্যান।
হেড টু হেড:
১) এই প্রথম একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ড।
২) ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে সর্বশেষ সাত ম্যাচের মাত্র একটিতেই হেরেছে আর্জেন্টিনা, ২০০২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে এসেছিল সেই হার।
৩) ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই ক্লিন শীট রেখেছে আর্জেন্টিনা। আবার উল্টোটাও আছে। ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে কোন গোলও করতে পারেনি আকাশি-নীলরা।
আর্জেন্টিনা:
১) এই নিয়ে টানা ১২ বারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলছে আর্জেন্টিনা, সব মিলিয়ে এটি তাদের ১৭ তম বিশ্বকাপ। ১৯৭৮ বিশ্বকাপ থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে দেশটি, কেবল জার্মানিই উঠেছে পাঁচ বার।
২) গত ১২ বারের মধ্যে ১১ বারই গ্রুপ পর্ব পার হয়েছে আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছে কেবল ২০০২ আসরে। শেষ ১৫ গ্রুপ ম্যাচের ১২ টিতেই জিতেছে দলটি, হেরেছে মাত্র একটি।
৩) গত তিন বিশ্বকাপেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরের পর্বে উঠেছে আর্জেন্টিনা। গত ছয় আসরের প্রতিটিতেই নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ শুরু করেছে তারা।
৪) লাতিন অঞ্চলের বাছাইপর্বে কেবল বলিভিয়াই আর্জেন্টিনার চেয়ে কম গোল করেছে। বাছাইপর্বে আলবিসেলেস্তেদের করা ১৯ গোলের ৭ টিই এসেছে লিওনেল মেসির পা থেকে।
৫) হোর্হে সাম্পাওলির দ্বিতীয় বিশ্বকাপ এটি। গত বিশ্বকাপে চিলিকে শেষ ষোলো পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন।
আইসল্যান্ড:
১) প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে ইউরোপের এই ছোট্ট দেশটি। গত ইউরোর পর এটি তাদের দ্বিতীয় মেজর টুর্নামেন্ট।
২) মাত্র ৩ লাখ ৩৪ হাজার বসতি বিশিষ্ট দেশ আইসল্যান্ড বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ক্ষুদ্রতম দেশ।
৩) বাছাইপর্বে আইসল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন জিলফি সিগুর্ডসন (৪ গোল)।
৪) বিশ্বকাপ অভিষেকেই দ্বিতীয় পর্বে ওঠা সর্বশেষ দল স্লোভাকিয়া। আইসল্যান্ডও তাদের পথ অনুসরণ করতে চাইবে।
Comments