পেনাল্টি মিস করলেন মেসি, জিততে পারল না আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টিনাকে রুখে দিতে অতি রক্ষানাত্মক কৌশল নিয়েছিল বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা আইসল্যান্ড। লিওনেল মেসিদের মুহুর্মুহু আক্রমণ আটকে সফলও হয়েছে তারা। তবে দলকে জেতানোর সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। পেনাল্টি মিস করে সমর্থকদের হতাশায় পুড়িয়েছেন আর্জেন্টিনার সেরা খেলোয়াড়।
শনিবার মস্কোতে বেশিরভাগ বল পজিশন রেখেও আইসল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। দুটি গোলই হয়েছে খেলার প্রথমার্ধে। আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেছিলেন সার্জিও আগুয়েরো। সেই গোল ফিরিয়ে সমতা আনেন ফিনবগাসন। নানা ঘটনার পর যা অটুট থাকে শেষ অবধি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলতে থাকে দুই দলই। কিছুটা হলেও এগিয়েছিল আর্জেন্টাইনরা। ম্যাচের ৪ মিনিটেই মেসি নেওয়া ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়েছিলেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো। তবে তা সামান্য জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে গোল করার মতো সুযোগ প্রথমে পেয়েছিল আইসল্যান্ডই। ৯ মিনিটে অ্যারন গুনারসনের কাছ থেকে বল পেয়ে বাড়ে শট নিয়েছিলেন বার্গ গুডমুন্ডসন। আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বাঁ প্রান্তে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন বির্কির জার্নাসন। কিন্তু তার শট বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
১৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে আচমকা এক শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু তা সহজেই ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক হানেস হলডরসন। তবে দুই মিনিট পরই গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বাঁ প্রান্তে সতীর্থের বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে দুই আইস ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়ান সের্জিও আগুয়েরো।
তিনটি আসরে খেললেও এটাই বিশ্বকাপে আগুয়েরোর প্রথম গোল। তবে গোল শোধ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি আইল্যান্ড। চার মিনিট পরই বাঁ প্রান্ত থেকে হরদূর জর্জভিন মাগনুসনের শট ঠিকভাবে ফেরাতে পারেননি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক কায়াবারো। জটলার মাঝে বল পেয়ে যান আলফ্রেড ফিনবোগাসন। আলতো বল জালে জড়ালে উল্লাসে মেতে ওঠে আইসরা। গোল খেয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু আইস ডিফেন্ডারদের দক্ষতায় সে আক্রমণ দানা বেধে ওঠেনি। উল্টো ম্যাচের শেষ মুহূর্তেও গোল করার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল আইসল্যান্ড। তবে দারুণ দক্ষতায় গিলফি সিরগুর্ডসনের ধট ফিরিয়ে দেন কাবায়েরো।
নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৫ মিনিটেও সুযোগ এসেছিল মেসির সামনে। ফ্রি কিক থেকে হাসাতে পারেননি আর্জেন্টিনা। গতবারের রানার্সআপরা মাঠ ছেড়েছে হতাশায়।
Comments