পারলেন না নাভাস, কোস্টারিকাকে হারাল সার্বিয়া

অতন্দ্র প্রহরীর মতো গোলবার আগলে রেখেছিলেন কেইলর নাভাস। একের পর এক মুহুর্মুহু আক্রমণ যেভাবে সামলেছেন তাতে মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন গত বিশ্বকাপের কথা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটে সাবেক ম্যানচেস্টার সিটি তারকা আলেকজান্ডার কোলারভই বদলে দিলেন সব। কোস্টারিকাকে ১-০ গোলের হারিয়ে শেষ হাসি হাসল সার্বিয়াই।
ডি বক্সের ডান প্রান্তে আলেকজান্ডার মিত্রোভিচকে মারাত্মক ফাউল করেন কোস্টারিকার ডেভিড গুজম্যান। হলুদ কার্ডও পান। আর সে ফ্রিকিক থেকে বাঁকানো শটে দুর্দান্ত ভাবে বল জালে জড়ান কোলারভ। ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নাভাস। তবে লাভ হয়নি। আসলে এমন শটে কিছুই করার ছিল না তার।
অথচ এর আগে ও পরে একের পর এক আক্রমণ একাই সামলেছেন। দুইবার তো সার্বিয়ান স্ট্রাইকারদের সামনে পড়েছিলেন একাই। সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছেন। কিন্তু কোলারভের দুর্দান্ত সেট পিসেই বদলে দিল ম্যাচের ভাগ্য।
পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিরাজ করে খেলেছে সার্বিয়াই। গোল করার মতো অনেক সুযোগই তারা পেয়েছিল। পারেনি নাভাসের কারণেই। তবে গোল খেয়ে বেশ কিছু আক্রমণ করেছিল কোস্টারিকাও। ম্যাচের ১২ মিনিটে গিয়ে যেতে পারতো তারাই। জিয়ানকার্লো গঞ্জালেস ফাঁকায় হেড করেও বল জালে জড়াতে পারেননি।
হারতে চায়নি কোন দলই। দুই দলই কিছুটা গায়ের জোরেই খেলেছে। ম্যাচের শেষ দিকে তো প্রায় হাতাহাতি অবস্থা। বল কাড়াকাড়ি নিয়ে কোস্টারিকার অফিসিয়ালদের সঙ্গে সার্বিয়ার খেলোয়াড়দের বাদানুবাদে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্টের সন্তুষ্টি নিয়েই মাঠ ছাড়ে সার্বিয়া।
গত আসরে দারুণ চমক দেখিয়েছিল কোস্টারিকা। তিন সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি, ইংল্যান্ড ও উরুগুয়ের গ্রুপে পরেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল তারা ওই নাভাসের হাত ধরেই।
Comments