মেক্সিকোর কাছে হেরে শুরু চ্যাম্পিয়ন জার্মানির

বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তারা। মোট ৪টি শিরোপা ঘরে নিয়েছে। র‍্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষে। সেই জার্মানিকে হারের তিক্ত স্বাদ উপহার দিল মধ্য আমেরিকার দল মেক্সিকো। দারুণ জমাট ডিফেন্স আর কাউন্টার অ্যাটাকে জার্মানদের দিশেহারা করে জিতেছে ১-০ গোলে।

বিরতির মিনিট দশেক আগে মেক্সিকোর পক্ষে গোলটি করেন হার্নিন লোজানো। দারুণ এই জয়ে এবার বিশ্বকাপে বড় চমক দিল মেক্সিকো।

ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই দারুণ গতিময় ফুটবল উপহার দেয় দুই দল। একবার জার্মানি আক্রমণে গেলে পরেই আক্রমণে যায় মেক্সিকো। মূলত কাউন্টার অ্যাটাকে জার্মানদের ব্যস্ত রাখে মেক্সিকানরা। জার্মানদের পায়ে ৬৭ শতাংশ বল থাকলেও গোল করার সহজ সুযোগগুলো পায় মেক্সিকোই। তবে তাতে লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছে একবারই।

৩৪তম মিনিটে গোল করার সহজ সুযোগ পায় মেক্সিকো। বাঁ প্রান্ত থেকে কার্লোস ভিয়ার বাড়ানো বলে ফাঁকায় থেকেও পা ছোঁয়াতে পারেননি মিগুয়েল লাউন। তবে আক্ষেপটা ভুলতে এক মিনিট সময়ও নেয়নি দলটি। চিচিরিতো হার্নান্দেজের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন হার্নিন লোজানো। দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে পরাস্ত করেন ম্যানুয়েল নয়ারকে।

গোল খেয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় জার্মানরা। ৩৯ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে দারুণ এক শট নেন টনি ক্রুস। তার শট গোলরক্ষক গুইলের্মো ওচোয়া ফিরিয়ে দেওয়ার পর বারে লেগে প্রতিহত হয়। এরপরও বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল দুই দলই। তবে তা থেকে কেউ কোন সুবিধা আদায় করতে না পারলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মেক্সিকো।

৫৬ মিনিটে আবারো গোল দেওয়ার সহজ সুযোগ পায় মেক্সিকো। গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন চিচিরিতো। তবে বাঁ প্রান্তে আন্দ্রেস গৌরদাদোকে পাস দিতে গিয়ে গোলমাল পাকিয়ে ফেলেন তিনি। একটু বেশি সামনে থাকায় বল ধরতে পারেননি গৌরদাদো। পরের মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকে গোল পেতে পারতো জার্মানিও। তবে থমাস মুলারের নেওয়া শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন মেক্সিকান গোলরক্ষক।

কাউন্টার অ্যাটাকে ৬৯ মিনিটে জুলিয়ান ড্রেক্সলারের বাড়ানো বল থেকে আবারো গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন গৌরদাদো। তবে বল ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। ৭৩ মিনিটে মাঠে নামেন রাফায়েল মারকুয়েজ। এ নিয়ে পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড স্পর্শ করলেন। এর আগে স্বদেশী অ্যান্টোনিও কারবাহাল ও জার্মান তারকা লোথার ম্যাথিউস পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। ইতালির জুয়ানলুইজি বুফোন পাঁচটি বিশ্বকাপে থাকলেও ১৯৯৮ সালে মাঠে নামা হয়নি।

৭৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে কিমিচের বাড়ানো বলে দারুণ শট নিয়েছিলেন ক্রুস। কিন্তু সামান্যর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশা বাড়ে জার্মানদের। এক মিনিট পর মুলারের শট ফিরিয়ে দেন মেক্সিকান গোলরক্ষক। তবে পরের মিনিট কাউন্টার অ্যাটাকে আবারো গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন লাউন। কিন্তু তার শট সহজেই ফিরিয়ে দেন নয়ার। ৮১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে আবারো একই ঘটনা। গোলরক্ষককে পেয়েও বাইরে শট নেন লাউন।

৮৩ মিনিটে গোলবারে দারুণ শট নিয়েছিলেন ক্রুস। এবারও দারুণ দক্ষতায় তা লুফে নেন গোলরক্ষক ওচোয়া। ৮৬ মিনিটে ওজিলের ক্রস থেকে ফাঁকায় হেড করার সুযোগ পেয়েছিলেন বদলি খেলোয়াড় মারিও গোমেজ। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। তিন মিনিট পর জুলিয়ান ব্রান্ডিতের বল বারে লাগলে দীর্ঘশ্বাস লম্বা হয় জোয়াকিম লোর শিষ্যদের।  শেষ পর্যন্ত গোল আদায় না করতে পারায় ০-১ গোলের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

Comments

The Daily Star  | English

'Frustrated, Yunus hints at quitting'

Frustrated over recent developments, Chief Adviser Prof Muhammad Yunus is considering stepping down, said sources familiar with what went down at the Chief Adviser’s Office and Jamuna yesterday.

3h ago