হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে জয় পেল ইংল্যান্ড

নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত ইংলিশদের আটকে রেখেছিল তিউনিসিয়া। মনে হচ্ছিল আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ব্রাজিলের মতোই নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়হীনই থাকবে ইংল্যান্ডও। কিন্তু যোগ করা সময়ে সব হিসেব পাল্টে দেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। তার জোড়া গোলেই আফ্রিকার দল তিউনিসিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে থ্রি লায়ন্সরা।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত ইংলিশদের আটকে রেখেছিল তিউনিসিয়া। মনে হচ্ছিল আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ব্রাজিলের মতোই নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়হীন থাকবে ইংল্যান্ডও। কিন্তু যোগ করা সময়ে সব হিসেব পাল্টে দেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। তার জোড়া গোলেই আফ্রিকার দল তিউনিসিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে থ্রি লায়ন্সরা।

ভলগোগ্রাদে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো তারা। ডেলে আলীর পাস থেকে দারুণ হেড দিয়েছিলেন লিনগার্ড। কিন্তু তিউনিসিয়ার গোলরক্ষক মোউয়েজ হাসান ঝাঁপিয়ে পড়ে তা রুখে দেন। মিনিট পার না হতেই আবারও ডেলে আলী দারুণ পাস দিয়েছিলেন লিনগার্ডকে। প্রয়োজন ছিল হালকা ছোঁয়ার। তা করতে পারেননি এ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা।

তবে গোল আদায় করতে খুব বেশি সময় নেয়নি ইংলিশরা। ১১ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেড দিয়েছিলেন জন স্টোনস। তার চেয়ে দারুণভাবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে তা ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক হাসান। কিন্তু লাভ হয়নি।  ফাঁকায় ফিরতি বল পেয়ে সহজেই জালে জড়ান ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন।

১৪ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় তিউনিসিয়া। ইনজুরির কারণে গোলরক্ষক হাসানকে মাঠ ছাড়তে হয়। ২৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার ভালো সুযোগ ছিল ইংলিশদের। এশলে ইয়ংয়ের ক্রস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন লিনগার্ড। কিন্তু এবারও বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন তিনি।

ধারার বিপরীতে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় তিউনিসিয়া। ডি বক্সের মধ্যে তিউনিসিয়ার ফখরুদ্দিন বিন ইউসুফকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন কাইল ওয়াকার। ফলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। আর তা থেকে গোল আদায় করে নিতে কোন ভুল করেননি ফেরজানি সাসি।

তিন মিনিট পর আবার এগিয়ে যেতে পারতো ইংলিশরা। হ্যারি ম্যাগুইরের পাস থেকে দারুণ হেড করেছিলেন ডেলে আলী। গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারলেও পারেননি গোল লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা স্যাম বিন ইউসুফকে। হেড দিয়ে বল বিপদমুক্ত করেন তিউনিসিয়ান ডিফেন্ডার।

৪৩ মিনিটে আবারো ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন লিনগার্ড। তার শট বার পোস্টের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটেই প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল ইংলিশরা। কিয়েরান ট্রিপিয়ারের বাড়ানো বল আগুয়ান গোলরক্ষককে বোকা বানাতে পেরেছিলেন লিনগার্ড। কিন্তু বল বারে লেগে বাইরে গেলে হতাশা বাড়ে থ্রি লায়ন্সদের।

প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধে গোছানো ফুটবল খেলতে পারেনি ইংল্যান্ড। পায়ে বল রাখলেও তিউনিসিয়ার জমাট ডিফেন্সে মাঝ মাঠের আসে পাশেই ছিল বল। ৭৯ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি কিক পেয়েছিল ইংলিশরা। তবে এশলে ইয়ংয়ের শট সামান্য উপর দিয়ে বল বাইরে চলে যায়। ৮৭ মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন মার্কাস রেসফোর্ড। তবে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি তিনি।

কাঙ্ক্ষিত গোলটি যোগ করা সময়ে পায় ইংল্যান্ড। ম্যাগুইরের হেড থেকে ডি বক্সের সামনে ফাঁকায় বল পেয়ে যান কেইন। আলতো হেডে ঘুরিয়ে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এ টটেনহ্যাম তারকা। ফলে স্বস্তির জয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে ১৯৬৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।  

 

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

40m ago