সংখ্যায় সংখ্যায় রাশিয়া-মিশর ম্যাচ

দুই দলের জন্য পরিস্থিতি যেন সম্পূর্ণ বিপরীত। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ফুরফুরে মেজাজে আছে স্বাগতিক রাশিয়া। আর উরুগুয়ের কাছে শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে গেছে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে আসা মিশর। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১২ টায় মুখোমুখি হচ্ছে বিপরীত অবস্থানে থাকা এই দুই দল। তার আগে চলুন একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক পরিসংখ্যানের দিকে।

দুই দলের জন্য পরিস্থিতি যেন সম্পূর্ণ বিপরীত। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ফুরফুরে মেজাজে আছে স্বাগতিক রাশিয়া। আর উরুগুয়ের কাছে শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে গেছে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে আসা মিশর। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১২ টায় মুখোমুখি হচ্ছে বিপরীত অবস্থানে থাকা এই দুই দল। তার আগে চলুন একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক পরিসংখ্যানের দিকে।

হেড টু হেড:

এর আগে কখনো মুখোমুখি হয়নি রাশিয়া ও মিশর। আজ প্রথমবারের মতো ফুটবল মাঠে মুখোমুখি হবে দল দুটি।

রাশিয়া:

১) সৌদি আরবের বিপক্ষে রাশিয়ার ৫-০ গোলের জয় ১৯৩৪ বিশ্বকাপের পর উদ্বোধনী ম্যাচে কোন স্বাগতিক দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। ১৯৩৪ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রকে ৭-১ গোলে হারিয়েছিল স্বাগতিক ইতালি।

২) নিজেদের খেলা গত দুইটি বিশ্বকাপের মোট গোল সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যেতে আজ আর দুই গোল লাগবে রাশিয়ার। ২০০২ বিশ্বকাপে চার গোল ও ২০১৪ বিশ্বকাপে মাত্র দুইটি গোল করেছিল রাশিয়া। আর এবার প্রথম ম্যাচেই করে ফেলেছে পাঁচ গোল।

৩) নিজেদের সর্বশেষ পাঁচটি বিশ্বকাপেই গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া। সর্বশেষ গ্রপ পর্বে রাশিয়ার দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের ঘটনাটি সেই ১৯৮২ বিশ্বকাপে, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল ৩-০ গোলে।

৪) সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের পর থেকে বিশ্বকাপে আফ্রিকান প্রতিপক্ষের কাছে হারেনি রাশিয়া। ৩ ম্যাচ খেলে জিতেছে দুইটি, আর বাকি ম্যাচটি হয়েছে ড্র। ১৯৯৪ সালে ওলেগ সালেঙ্কোর পাঁচ গোলের কল্যাণে ক্যামেরুনকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল তারা।

৫) বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই এক গোল ও দুই অ্যাসিস্ট করেছেন এবারের আসরে রাশিয়ার বড় ভরসা আলেক্সান্ডার গোলোভিন।

মিশর:

১) বিশ্বকাপের মূল পর্বে নিজেদের ইতিহাসে এখনও প্রথম জয়টি খুঁজে বেড়াচ্ছে মিশর। মূল পর্বে পাঁচ ম্যাচ খেলে মিশর হেরেছে তিন ম্যাচে, আর ড্র করেছে দুইটি ম্যাচ। কোন আফ্রিকান দেশকেই বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের জন্য এতগুলো ম্যাচ অপেক্ষা করতে হয়নি।

২) বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে গোলের দেখা পায়নি ফারাওরা। বিশ্বকাপে তারা সর্বশেষ গোল করেছিল ১৯৯০ সালে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করে মিশরকে ড্র এনে দিয়েছিলেন ম্যাগদি আদবেলঘানি।

৩) বিশ্বকাপে কেবল একটি ম্যাচেই ক্লীন শীট রাখতে সক্ষম হয়েছিল মিশর, সেটিও ওই ১৯৯০ বিশ্বকাপেই। রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।

 

Comments

The Daily Star  | English

3 buses set on fire within 10 minutes

The incidents were reported in the capital's Gabtoli, Agargaon, and Sayedabad

6h ago