তবুও ভিএআরের পক্ষেই কথা বলছেন ইরান কোচ
ভিএআর না থাকলে হয়তো গতকাল রাতে এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো তাঁর দল। শক্তিশালী স্পেনের বিপক্ষে ড্র করাটাও ইরানের জন্য হতো অনেক বড় অর্জন। সাথে পরের পর্বে ওঠার লড়াইয়েও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া যেত। কিন্তু ভিএআরের ব্যবহারে গোল বাতিল হয়ে যাওয়ায় সেটি আর হয়নি। তবে দলের স্বার্থ দূরে সরিয়ে রেখে একজন প্রকৃত ফুটবলপ্রেমী হিসেবে কার্লোস কুইরোজ বলছেন, ফুটবলে স্বচ্ছতা বাড়াবে ভিএআর।
ডিয়েগো কস্তার গোলের কিছুক্ষণ পরই ম্যাচে সমতা এনে ফেলেছিল ইরান। সবাই মিলে উল্লাসও শুরু করে দিয়েছিল তারা। কিন্তু পরে ভিএআরের সহায়তা নিয়ে দেখা যায়, গোলের আগে অফসাইডে ছিলেন সাঈদ এজাতোলাহি। গোলটিও তাই বাতিল হয়ে যায়। ফলে ১-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ইরানকে।
কিন্তু এতে হতাশ হচ্ছেন না কুইরোজ, বরং ভিএআরের ইতিবাচক দিকের উপরেই মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি, ‘ভিএআর যদি আরও ছয় মাস পরে চালু হতো, তাহলে হয়তো গতকাল আমরা এক পয়েন্ট পেতে পারতাম। কিন্তু ফুটবলের স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্যই ভিএআর দরকার।’
এর আগে একই স্টেডিয়ামে ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও ভিএআরের সাহায্য নেয়া হয়েছিল। কাকতালীয়ভাবে সেই ম্যাচেও রেফারি ছিলেন কালকের ম্যাচের রেফারি আন্দ্রেস কুনহা। সেদিন ফ্রান্সের পক্ষে সিদ্ধান্ত গিয়েছিল, আর কাল গিয়েছে স্পেনের পক্ষে।
তবে স্পেনের কাছে হারলেও খুব একটা হতাশ হচ্ছেন না কুইরোজ, ‘স্পেনের কোয়ালিটি নিয়ে কিছু বলার নেই আমার। বরং আমার খেলোয়াড়দের একাগ্রতা ও আনুগত্য নিয়ে কথা বলতে পারি আমি।’
‘পারফরম্যান্স অনুযায়ী আমরা আরেকটু ভালো ফল পেতে পারতাম, কিন্তু এটাই ফুটবল। আমাদের পক্ষে কেবল দুইটি ফলাফলই অর্জন করা সম্ভব ছিল- হয় আমরা জিতবো, না হয় শিখবো। জিততে পারিনি ঠিকই, কিন্তু এ ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’
Comments