‘কাবায়েরো ম্যাচ ফিক্সিং করেছে কী না তদন্ত করা হোক’

আর্জেন্টাইন ভক্তরা শুরু থেকেই তাঁকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। একে তো চেলসির দ্বিতীয় পছন্দের গোলকিপার, তার উপর বড় মঞ্চে খেলার কোন অভিজ্ঞতাও নেই। এই বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টিনার হয়ে গোলবারের নিচে দাঁড়িয়েছেন মাত্র দুবার। অথচ সার্জিও রোমেরোর ইনজুরির পর এই উইলি কাবায়েরোকেই প্রথম পছন্দের গোলকিপার বানিয়ে দিলেন সাম্পাওলি!
Willy Caballero
আর্জেন্টিনার জালে বল ঢোকার পর বিমর্ষ উইলি কাবায়েরো। ছবি: রয়টার্স

আর্জেন্টাইন ভক্তরা শুরু থেকেই তাঁকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। একে তো চেলসির দ্বিতীয় পছন্দের গোলকিপার, তার উপর বড় মঞ্চে খেলার কোন অভিজ্ঞতাও নেই। এই বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টিনার হয়ে গোলবারের নিচে দাঁড়িয়েছেন মাত্র দুবার। অথচ সার্জিও রোমেরোর ইনজুরির পর এই উইলি কাবায়েরোকেই প্রথম পছন্দের গোলকিপার বানিয়ে দিলেন সাম্পাওলি!

অনেক আর্জেন্টিনা ভক্তই চেয়েছিলেন গোলবারের নিচে রিভারপ্লেটের তরুণ ও প্রতিভাবান গোলকিপার ফ্রাঙ্কো আরমানিকে। কিন্তু সাম্পাওলি ভরসা রেখেছিলেন কাবায়েরোর উপরেই। ভরসার সেই প্রতিদান এভাবে ফিরিয়ে দেবেন কাবায়েরো, তা কি স্বপ্নেও ভেবেছিলেন সাম্পাওলি?

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জীবন-মরণ ম্যাচ, অথচ কী মারাত্মক রকমের হাস্যকর ভুলটাই না করলেন কাবায়েরো! জয় না হলেও অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেও সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারতো আর্জেন্টিনা। অথচ কাবায়েরোর সেই শিশুতোষ ভুলই গোলমুখ খুলে দিলো ক্রোয়েশিয়ার জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের গোলকিপারের থেকে এমন অমার্জনীয় ভুল মেনে নিতে পারেনি আর্জেন্টিনা ভক্তরাও। অনেকে টুইটারে মনের ক্ষোভ ঝেড়েছেন কাবায়েরোর উপর। তেমনি এক ভক্তের দাবি, কাবায়েরো ম্যাচ ফিক্সিং করেছেন কী না সেটি তদন্ত করে দেখা হোক!

একের পর এক টুইটের মধ্য দিয়ে নিজেদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশই ঘটিয়েছেন সমর্থকেরা। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রসঙ্গ তোলা সেই ভক্তের মন্তব্য, ‘কাবায়েরো ম্যাচ ফিক্সিং করেছে কী না তা তদন্ত করা উচিত। ভুলটা এতটাই বাজে ছিল।’ একজন বলেছেন, ‘কাবায়েরোর এই ভুলই গোটা আর্জেন্টিনা দলের চিত্র তুলে ধরে’। আরেকজনের মন্তব্য, ‘বোকারা কখনো ভুল থেকে শিক্ষা নেয় না। আইসল্যান্ডের বিপক্ষেও এমন কিছুর চেষ্টা করেছিল সে। আর আজকে তো ম্যাচটাকে পুরো বিক্রিই করে দিলো।’ আরেকজন বলেছেন, ‘কাবায়েরো যখনই খেলতে নামে, আমি মোটামুটি নিশ্চিত থাকি, কিছু না কিছু ভুল সে করবেই।’

শুধু ক্ষোভই নয়, প্রতিপক্ষ সমর্থকেরা অনেকে মজাও নিয়েছেন কাবায়েরোর এমন দৃষ্টিকটু ভুলের। কদিন আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে এমনই দৃষ্টিকটু দুটি ভুল করেছিলেন লিভারপুলের জার্মান কিপার লরিস কারিউস। কাবায়েরোর ভুল নিয়ে মজা করতে গিয়ে এক ভক্ত টেনে এনেছেন কারিউসকেও। টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘চিন্তা করো না কাবায়েরো, তুমি আর কারিউস মিলে নতুন একটি ক্লাব খুলতে পারবে!’

আরেকজন আবার ব্যঙ্গ করে কাবায়েরোকে ‘অ্যাসিস্ট কিং’ উপাধিও দিয়েছেন! এমনকি মেসুত ওজিলও এমন সুন্দর অ্যাসিস্ট করতে পারবেন না, এমনটিও বলেছেন ব্যঙ্গ করে!

আরেকজন বলেছেন, ‘কাবায়েরো নিশ্চয়ই ম্যাচের আগে সর্বকালের সেরা ভুলের ভিডিও দেখে মাঠে নেমেছিল। ম্যাচেও সেটি প্রয়োগ করে দেখিয়ে দিলো সে!’

আরেকজন তো এও বলেছেন, এমন গোলকিপার নিয়ে চেলসি এফএ কাপের শিরোপা জিতেছিল, এটাকে অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হবে!

ফুটবল খেলাটাই এমন, ভক্তদের এতো আবেগ আর কোন খেলায়ই বোধহয় মিশে থাকে না। তার উপর দলটির নাম যখন আর্জেন্টিনা, আবেগের মাত্রা অতিক্রম করে যায় সকল সীমা। সেখানে এমন বাঁচা-মরার ম্যাচে এরকম ভুলের পর একটু-আধটু ব্যঙ্গ তো সহ্য করতেই হবে কাবায়েরোকে!

Comments