সংখ্যায় সংখ্যায় জার্মানি-সুইডেন ম্যাচ

Germany Training
অনুশীলনে জোয়াকিম লোর শিষ্যরা। ছবিঃ রয়টার্স

সাম্প্রতিক সময়ে মাথার উপর এমন চাপ নিয়ে কবে খেলতে নেমেছে জার্মানি, তা মনে করতে জার্মান সমর্থকদের একটু কষ্টই হওয়ার কথা। গ্রুপ পর্বের এক ম্যাচ শেষেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা, এমন পরিস্থিতি তো খুব বেশি  দেখা যায়নি! তবে আজ সুইডেনের কাছে হেরে গেলে এমন অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখোমুখিই হবে রাশিয়া বিশ্বকাপ। গত দুই বিশ্বকাপেই আগের আসরের চ্যাম্পিয়নেরা বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে (২০১০ এ ইতালি, ২০১৪ তে স্পেন)। জার্মানি কি সেই ধারাবাহিকতাই ধরে রাখতে যাচ্ছে? সেই উত্তর পাওয়া যাবে ম্যাচের পরে, তবে তার আগে পরিসংখ্যানের উপর একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক।

হেড টু হেড:

১) সুইডেনের বিপক্ষে শেষ ১১ ম্যাচে পরাজয়ের মুখ দেখেনি জার্মানরা, জিতেছে ৬ টি আর ড্র করেছে ৫ টি। সুইডেন শেষবারের মতো জার্মানিকে হারিয়েছিল ১৯৭৮ সালে, ৩-১ ব্যবধানে।

২) দুই দলের মধ্যকার শেষ দুই ম্যাচে যেন গোলবন্যা দেখেছেন দর্শকেরা। শেষ দুই ম্যাচে দুই দল মিলে জালে বল ঢুকিয়েছে ১৬ বার! ২০১২ সালের অক্টোবরে ড্র হয়েছিল ৪-৪ গোলে, আর ২০১৪ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে জার্মানি জিতেছিল ৫-৩ গোলে।

৩) বিশ্বকাপে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে চারবার, এর মধ্যে তিনবারই জিতেছে জার্মানি। বিশ্বকাপে জার্মানিকে হারানোর একমাত্র অভিজ্ঞতা সুইডেনের হয়েছিল ঘরের মাঠে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে, যেবার পেলের ব্রাজিলের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেছিল দেশটি।

৪) প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এই একবারই জার্মানিকে হারিয়েছে সুইডেন। এছাড়া প্রীতি ম্যাচে আরও ১১ বার সুইডিশদের কাছে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে জার্মানদের।

জার্মানি:

১) এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে জার্মানি। এর আগে ১৯৮২ বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে আলজেরিয়ার কাছে হেরেছিল তারা। তবে মজার বিষয় হলো, প্রথম ম্যাচ হেরেও সেই আসরের ফাইনাল খেলেছিল দলটি।

২) দুই জার্মানি একত্রিত হওয়ার পরে বিশ্বকাপে কখনো টানা দুই ম্যাচে হারেনি তারা।

৩) বিশ্বকাপে গোলমুখে মাত্র ১৪ টি শট নিয়েই ১০ গোলের মালিক হয়ে গেছেন থমাস মুলার।

৪) তবে মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচে এই থমাস মুলারই একমাত্র জার্মান আউটফিল্ড খেলোয়াড় ছিলেন, যিনি কি না গোলমুখে একটিও শট নিতে পারেননি। বিশ্বকাপে শেষ ২৩৯ মিনিটে গোলমুখে কোন শট নিতে পারেননি তিনি।

Sweden Training
অনুশীলনে সুইডেন

সুইডেন:

১) বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হয়ে দুইবারই জেতার অভিজ্ঞতা আছে সুইডেনের। ১৯৫০ বিশ্বকাপে জিতেছিল আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিপক্ষে, আর ১৯৫৮ আসরে জিতেছিল ১৯৫৪ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে।

২) ১৯৫৮ সালের পর এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে সুইডেন।

৩) সুইডিশদের বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচ জেতার সবশেষ নজিরও ওই ১৯৫৮ বিশ্বকাপেই।

৪) দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গোল করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজেদের ৪০২ মিনিটের গোলখরা কাটিয়েছে সুইডেন।

সর্বশেষ মুখোমুখি:

জার্মানি ৫-৩ সুইডেন (১৫ অক্টোবর, ২০১৩)।

 

Comments