‘সৈয়দ আশরাফের অসুস্থতার খবর গুজব’

​আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ‘খুবই অসুস্থ’ বলে কয়েকটি নিউজ পোর্টালের খবরকে নিছক গুজব বলে আখ্যায়িত করেছে সৈয়দ আশরাফের পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন।
syed ashraf
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ছবি: ফাইল ফটো

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ‘খুবই অসুস্থ’ বলে কয়েকটি নিউজ পোর্টালের খবরকে নিছক গুজব বলে আখ্যায়িত করেছে সৈয়দ আশরাফের পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন।

আজ আশরাফের ঘনিষ্ঠ চারজনের সঙ্গে কথা হয়েছে দ্য ডেইলি স্টারের। তারা দাবি করেছেন, আশরাফের শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ; কিন্তু খবরে যেভাবে এসেছে তেমন কিছুই হয়নি।

‘আজও সৈয়দ আশরাফ স্যার আটটি ফাইল স্বাক্ষর করেছেন। প্রতিদিনই মন্ত্রণালয়ের ফাইল স্বাক্ষর করছেন। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটেন,’ সৈয়দ আশরাফের ব্যক্তিগত এক সহকারী দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন।

সৈয়দ আশরাফ সম্পর্কিত সংবাদটি কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতির আভ্যন্তরীণ কোন্দলের অংশ বলে দাবি করেন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একজন।

ময়মনসিংহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিনের বরাত দিয়ে যে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে সেটির ব্যাপারে প্রশ্ন করলে সে সময়ে উপস্থিত একজন বলেন, নাজিম উদ্দিন আশরাফের সঙ্গে দেখা করতে আসলে আশরাফ তাকে ভই বলে সম্বোধন করে ভালো-মন্দ জিজ্ঞাসা করেন। পরে তিনি তার এমপি হবার জন্য আশরাফের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

উল্লেখ্য, নাজিম উদ্দিন যখন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ আশরাফ।

গত বছরের অক্টোবরে লন্ডনের একটি হাসপাতালে আশরাফের স্ত্রী শিলা ইসলামের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েন সৈয়দ আশরাফ। এরপর থেকে তিনি কিছুটা একাকী সময় কাটান এবং দলীয় কর্মকাণ্ডে কম সময় দিতে থাকেন। অবশ্য আশরাফের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মকাণ্ডে সময় কম দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়।

তবে তার মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দাবি করেন, সৈয়দ আশরাফ মন্ত্রণালয়ে কম গেলেও কোনো ফাইল তার কাছে পড়ে থাকে না, নিয়মিত তিনি বাসা থেকে ফাইল স্বাক্ষর করেন।

আশরাফের একমাত্র কন্যা রিমি ইসলাম লন্ডনে বসবাস করেন এবং এইচএসবিসি ব্যাংকে কর্মরত।

আশরাফের পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান আশরাফ কিছুদিন আগে থাইল্যান্ডে রুটিন চেক-আপ করিয়েছেন এবং কিছুদিনের মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন চেক-আপের জন্য। এক বোন এখন আশরাফের কাছেই আছেন।

উল্লেখ্য ২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন সৈয়দ আশরাফ। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে এবং ২০১২ সালে সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।

২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান সৈয়দ আশরাফ।

২০১৬ সালের আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে আশরাফ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১৬ সালের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদরের নাম প্রস্তাব করেন সৈয়দ আশরাফ।

১৯৭৫ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে আশরাফের পিতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে হত্যার পর আশরাফ যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং লন্ডনের হ্যামলেট টাওয়ারে বসবাস শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে আশরাফ দেশে ফিরে আসেন এবং জুন ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago