রাশিয়াকে বাস্তবতা দেখাল উরুগুয়ে

ইগর স্মলনিকভ যখন লাল কার্ড পান কার্যত তখনই শেষ হয়ে যায় রাশিয়ার জয়ের আশা। কারণ এর আগেই দুই গোলেই পিছিয়ে ছিল দলটি। ম্যাচের শেষে হলো আরও একটি। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক রাশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম লেখাল উরুগুয়ে। পাশাপাশি অভিজ্ঞতার মূল্য বুঝিয়ে রাশিয়াকে বাস্তবতা বোঝাল তারা।

দুই দলই নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়েছিল। দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছিল তখনই। সামারা অ্যারেনায় সোমবার লড়াইটা ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। তাতে জয় পেল উরুগুয়ে। তবে তাতে কতটুকু লাভ হয়েছে তা জানা যাবে ‘বি’ গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচের পরই। কারণ শক্তিশালী স্পেনের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে এ হারটি সাপেবরই হতে পারে স্বাগতিকদের জন্য।

এ হারে বাস্তবতাটা ভালোভাবেই টের পেল রাশিয়া। আগের দুই ম্যাচে সৌদি আরব ও মিশরকে আট গোল দিয়ে যেন উড়ছিল দলটি। অভিজ্ঞতা কি জিনিস তা এদিন তাদের শেখাল দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। স্বাগতিকদের মাটিতে নামিয়ে আনল তারা। রাশিয়া আগের দুই ম্যাচে যেখানে হজম করেছিল মাত্র ১টি গোল সেখানে উরুগুয়ের বিপক্ষেই খেল ৩টি গোল। আর নিজেরা দিতে পারেনি একটিও।

ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। ডি বক্সের একেবারে কাছে রদ্রিগো বেনটানকুরকে ফাউল করেন ইউরি গ্যাজিনস্কি। তা থেকে পাওয়া ফ্রি কিকের দারুণ ব্যবহার করেন সুয়ারেজ। বুদ্ধিদীপ্ত শটে রাশিয়ান গোলরক্ষক ইগোর আকিনফেভকে বোকা বানান এ বার্সেলোনা তারকা। চলতি বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় গোল।

২৩ মিনিটে আবার গোল পায় উরুগুয়ে। এবার নিজেদের ভুলেই। আগের দুই ম্যাচে তিন গোল দেওয়া ডেনিশ চেরিশেভ এবার বল জড়ান নিজেদের জালে। দিয়াগো ল্যাক্সালতের বিদ্যুৎ গতির শট চেরিশেভের পায়ে লেগে দিক বদলে ঢুকে যায় রাশিয়ার জালে। ফলে ০-২ গোলে পিছিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

৩৬ মিনিটে বড় ধাক্কাটা খায় রাশিয়া। আগুয়ান উরুগুয়ে মিডফিল্ডার ম্যাতিয়াস ভেসিনোকে পেছন থেকে ফাউল করলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লাল পান দেখেন স্মলনিকভ। দুই গোলে পিছিয়ে থাকা দলটি ডিফেন্স শক্ত করতে চেরিশেভকে নামিয়ে ডিফেন্ডার মারিও ফের্নান্দেজকে নামায়। ফলে ১০ জনের দল নিয়ে লড়াইটা বেশ কঠিন হয়েই পড়ে। তবে তারপরও খারাপ খেলেনি রাশিয়া। বেশ কিছু দারুণ সুযোগ পেয়েছিল দলটি। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় লাভ হয়নি। চেরিশেভের অভাবটা টের পেয়েছে ভালোভাবেই।

উল্টো ম্যাচের শেষ দিকে আরও এক গোল হজম করে তারা। ৯০ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে দারুণ হেড নিয়েছিলেন দিয়াগো গডিন। তার চেয়েও দারুণ দক্ষতায় তা ফিরিয়ে দেন রাশিয়ান গোলরক্ষক। কিন্তু ফিরতি বল পেয়ে যান এডিসন কাভানি। সে বল আর ফেরাতে পারেননি আকিনফেভ। ফলে ৩-০ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago