মিশর-সৌদি আরবের গুরুত্বহীন ম্যাচে ইতিহাসে হাদারি
বিশ্বকাপে দুদল আগেই বাদ পড়েছে। তাদের ম্যাচে কোন উত্তাপ বা আগ্রহ থাকার কথা না। ছিলও না। কিন্তু একজনের কারণে ম্যাচটি ঢুকে গেছে ইতিহাসের পাতায়। সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড গড়েছেন মিশরের গোলরক্ষক ইসাম আল হাদারি। একটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে স্মরণীয়ও করে রেখেছেন উপলক্ষ।
ভলগোগ্রাদে মিশর আর সৌদি আরবের খেলায় ছিল না উত্তেজনার পারদ। ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-১ সমতা থাকার পর ইনজুরি টাইমের গোলে ২-১ গোলে জিতে যায় সৌদি আরব। এই ম্যাচে গোল পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাহও। চোটের কারণ প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি। পরের ম্যাচে নেমে পেয়েছিলেন গোল, তবে তার দল হেরেছিল। নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে নেমেও তিনি গোল পেলেন, জিততে পারল না দল।
খেলার ফল যাইহোক। তা নিয়ে আর কে মাথা ঘামায়। মিশরের গোলরক্ষক ইসাম এল হাদারির মাঠে নামার দিন বয়স চিল ৪৫ বছর ১৬১ দিন। এর আগে রেকর্ডটি ছল ফারিদ মন্দ্রাগনের দখলে। ৪৩ বছর ৩ দিনে মাঠে নেমেছিলেন তিন। এই বয়সে মাঠে নেমেও দেখিয়েছেন ঝাঁজ। ঠেকিয়ে দিয়েছেন একটি পেনাল্টি। হাদারির আবেগে ভাসা মুহূর্তই তাই ‘এ’ গ্রুপের এ ম্যাচের সবচেয়ে বড় দৃশ্য।
পুরো ম্যাচে প্রাধান্য ছিল সৌদি আরবেরই। ৬৪ শতাংশ বল পজিশন রেখে খেলেছে তারা। তবে ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথম গোল পায় মিশর। আব্দুল্লাহ আল সাইদের কাছ থেকে বল পেয়ে বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লিভারপুল তারকা।
৪১ মিনিটে পেনাল্টি পায় সৌদি আরব। ফাহাদ আল মৌলাদের নেওয়া ওই পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ইসাম আল হাদারি। এর চার মিনিট পর আবার পেনাল্টি পায় সৌদি। এবার আর ঠেকানো যায়নি। গোল পান সালমান আল ফারাজ।
৯৬ মিনিটে আব্দুল্লাহ ওতাফের শেষ মুহূর্তে গোলে জিতে যায় সৌদি আরব। এবার বিশ্বকাপে কোন ম্যাচেই জিততে পারল না মিশর। তিন ম্যাচের মধ্যে একটাতে জিতে দেশে ফিরছে সৌদি আরব।
Comments