যেন গোল করার ইচ্ছাই ছিল না ফ্রান্স-ডেনমার্কের

ফ্রান্সের দ্বিতীয় রাউন্ড আগেই নিশ্চিত। আর একটি পয়েন্ট পেলে নিশ্চিত হতো ডেনমার্কেরও। তবে অপর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিততে না পারায় হারলেও সমস্যা ছিল না তাদের। তাই দুই দলই বেশ আয়েশি ফুটবল খেলেছে। ঝুঁকি নিতে চায়নি কেউই। মস্কোতে সাদামাটা নিষ্প্রাণ খেলাই উপহার দেয় দলদু’টি। ফলে হয়নি কোন গোল। চলতি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোন ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হলো।
আগেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হওয়ায় সেরা একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন ফরাসী কোচ দিদিয়ার দিশম। পল পগবা, হুগো লরিস, স্যামুয়েল উমতিতি, কেইলেন এমবেপেরা ছিলেন বিশ্রামে। তবে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেনি দলটি। ম্যাচের ১৮ মিনিটে বলার মতো প্রথম সুযোগ পায় ফ্রান্স। লুকাস হের্নান্দেজের কাছ থেকে অলিভার জিরুদের নেওয়া শট লক্ষ্যে থাকেনি।
২৯ মিনিটে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ডেনমার্ক। সতীর্থের বাড়ানো বলে অল্পের জন্য নাগাল পাননি এরিকসন। অন্যথায় এগিয়ে যেতে পারতো ডেনিশরা। চার মিনিট পর ডি বক্সের বাইরে থেকে ওসমান ডেম্বেলের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যে থাকেনি। তবে দিনের সেরা সুযোগটি ফ্রান্স পেয়েছিল প্রথমার্ধের একদম শেষ সময়ে। ফাঁকায় বল পেলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি জিরুদ।
৫৫ মিনিটে বিপদ প্রায় ডেকে এনেছিলেন ফরাসী গোলরক্ষক স্টিভ মান্দানা। এরিকসনের শট ধরতে গিয়ে ছুটে যায় বল। তবে কোন বিপদ হওয়ার আগেই ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নেন। ৬৯ মিনিটে বাঁ প্রান্তে ডি বক্সের বাইরে থেকে বদলি খেলোয়াড় নাবিল ফেকিরের দূরপাল্লার দারুণ এক শট সামান্যর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। চার মিনিট পর সতীর্থের ক্রস থেকে ফাঁকায় হেড দিয়েছিলেন জিরুদ। তবে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
৮২ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে আবারো দারুণ এক শট নিয়েছিলেন ফেকির। তবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে শট ফিরিয়ে দেন ডেনিশ গোলরক্ষক। শেষ দিকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমেছিলেন এমবেপে। তবে লাভ হয়নি। ফল পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
এ ড্রয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে থেকেই প্রথম পর্ব শেষ করলো ফ্রান্স। তিন ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭। আর তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ফরাসীদের সঙ্গী হলো ডেনমার্কও।
Comments