সেনেগালকে বিদায় করে দ্বিতীয় রাউন্ডে কলম্বিয়া
খেলার শুরুর দিকে হামেস রদ্রিগেজকে হারিয়ে শঙ্কায় পড়েছিল কলম্বিয়ার ভাগ্য। জিততেই হবে এমন সমীকরণ দোলাচলের মধ্যে থেকে ৭৪ মিনিটের গোলে জিতেছে তারা। প্রথম ম্যাচ হারার পরও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠল দক্ষিণ আমেরিকান দেশটি। কলম্বিয়ার জেতার দিনে জাপানের সমান পয়েন্ট , গোল গড় নিয়েও ফেয়ার প্লেতে পিছিয়ে বিদায় নিয়েছে সেনেগাল।
সামারায় ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে সেনেগালকে ১-০ গোলে হারায় গত আসরের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট কলম্বিয়া। ৭৪ মিনিটে দলের জয়সূচক গোল করেন ইয়েরি মিনা।
পরের রাউন্ডে যেতে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না কলম্বিয়ার সামনে। শুরু থেকেই তাই আক্রমণ করে খেলেছে তারা। কিন্তু কোনভাবেই খুলতে পারছিল না গোলমুখ। ম্যাচের প্রাধান্য ধরে রেখেও প্রথমার্ধে বড় ধাক্কা খায় কলম্বিয়াই। ৩০ মিনিটের সময় চোটে পড়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান তাদের সেরা তারকা হামেস রদ্রিগেজ।
তার মিনিট দশেক আগে পিছিয়ে পড়ার অবস্থা থেকে রক্ষা হয় কলম্বিয়ার। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন সেনেগাল তারকা সাদিও মানে। তাকে ট্যাকল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি, ভিএআর পরীক্ষার পর দেখা যায় তা ছিল বৈধ ট্যাকল।
বিরতির আগে গোলশূন্য অবস্থা। বিরতির পরও খুলছিল না গোলের মুখ। ড্র হলেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত। তাই ভেবে সেনেগাল রক্ষণ পোক্ত করেই আক্রমণে উঠেছে। গোল করার তাড়া তাদের ছিল কম। ওদিকে গোলপেতে মরিয়া কলম্বিয়ার হতাশা বাড়ছিল। ডাগআউট থেকে ভেসে আসছিল রদ্রিগেজের চিন্তিত চেহারা। গ্যালারি উদ্বেগ নিয়ে প্রতীক্ষায় ছিলেন কার্লোস ভালদেরামার। সবার উৎসবে উপলক্ষ এনে দেন মিনা।
সব শঙ্কার অবসান ঘটিয়ে ৭৪ মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত। জোহান ফার্ন্দান্দো কুইন্টেরোর কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে কলম্বিয়াকে এগিয়ে নেন ইয়েরি মিনা। গোল খেয়ে হুশ ফেরা সেনেগাল পরের মিনিটেই সমতা ফেরাতে পারত। কর্নার থেকে নিয়াগের চেষ্টা প্রতিহত করেন আর্সেনালের তারকা গোলরক্ষক আসপিনা।
ম্যাচের বাকি অংশে সেনেগালিরজরা পড়িমরি চেষ্টা চালিয়ে গেছে। কিন্তু কলম্বিয়ার দৃঢ়তার সামনে খেই হারায় তাদের সব চেষ্টা। ওই গোল ধরে রেখেই নকআউট পর্বে উঠল হোসে প্যাকারম্যানের শিষ্যরা।
Comments