ফ্রান্সেরও খুঁত আছে: লো সেলসো
কাগজে কলমে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম শক্তিশালী দল ফ্রান্স। শেষ ষোলোতেও উঠেছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। তবে ফ্রান্সকে সমীহ করলেও ভয় পাচ্ছেন না আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসো। বলছেন, ফ্রান্সও নিখুঁত দল নয়, আর সেই খুঁতগুলোকেই কাজে লাগাতে চায় আর্জেন্টিনা।
গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে পরের পর্বে ওঠায় শেষ ষোলোতেই ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী দলের সামনে পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। পিএসজিতে খেলা লো সেলসো আগামীকালের ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবেন তিন পিএসজি সতীর্থ আলফোনসো আরিওলা, প্রেসনেল কিম্পেম্বে ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। ফরাসিদের সাথে খেলেন বলেই হয়তো তাদের সম্পর্কে ধারণাটা লো সেলসোরই সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট, ‘আমরা দুর্দান্ত একটি দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছি। গ্রুপ পর্বে তারা অপরাজিত থেকে পরের পর্বে উঠেছে। কিন্তু আমরাও বড় দল, আমাদেরও নিজস্ব শক্তিমত্তা আছে। দারুণ একটি ম্যাচ হতে চলেছে এটি।’
‘এই ফ্রান্স দলে যে খেলোয়াড় আছে, তারা যেকোনো সময় যেকোনো দলকে বিপদে ফেলার সামর্থ্য রাখে। এক কথায় বলতে গেলে তারা খুবই গোছানো এবং শক্ত একটি দল। কিন্তু যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদেরও খুঁত আছে। আমাদের সেই সুযোগটাই নিতে হবে।’
নাইজেরিয়ার সাথে শেষ মুহূর্তে জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন দলের ডিফেন্ডার ফেদেরিকো ফ্যাজিও ও। ফ্রান্সের মুখোমুখি হওয়ার আগে বলেছেন, ‘নাইজেরিয়ার বিপক্ষে গোটা দলই অন্যরকম মনোভাব দেখিয়েছে। না জিততে পারলে কী হবে সেটা মাথায় থাকার পরেও প্রথম মিনিট থেকেই আমরা সবাই সাহস নিয়ে খেলেছি। পুরো দল অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ ছিল।’
১৯৭৮ সালের পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে হারেনি আর্জেন্টিনা, এমন তথ্য জানার পরেও ফ্রান্সকে হালকা করে নেয়ার কোন সুযোগই দেখছেন না ফ্যাজিও, ‘ফ্রান্স বড় প্রতিপক্ষ। দারুণ সব খেলোয়াড় আছে তাদের। প্রতিপক্ষ হিসেবে তাদের প্রতি সম্মান আছে আমাদের, কিন্তু আমরাও আত্মবিশ্বাসী। নাইজেরিয়া ম্যাচের পর আমরা দলগতভাবে আরও শক্তিশালী বোধ করছি। আমাদের দারুণ একটা দল আছে, বড় দলের আত্মবিশ্বাসও আছে। আমাদের এগুলো কাজে লাগাতে হবে।’
নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় মুখোমুখি হচ্ছে দুই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা।
Comments