এবার একেবারে ফাইনালে চোখ উরুগুয়ের

পর্তুগাল বাধা পেরিয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে সুয়ারেজ-কাভানিরা। কোয়ার্টারে মোকাবেলা করতে হবে শক্তিশালী ফ্রান্সকে। ওটা পেরুতে পারলে সেমিফাইনালে থাকবে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সব ছাপিয়ে সরাসরি ফাইনালের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন উরুগুয়ে কোচ অস্কার তাবারেজ।

সোচির ফিশট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাবারেজ বলেছেন, ‘আমরা এখানে সাতটি ম্যাচ খেলার জন্যই এসেছি।’ অর্থাৎ শুধু ফ্রান্স ম্যাচ নয়, ফাইনালকেই পাখির চোখ করছেন উরুগুয়ের এই বর্ষীয়ান কোচ।

পুরো ম্যাচে পর্তুগালের চেয়ে কম বল দখলে রেখেও ম্যাচ ঠিকই জিতে ফিরেছে উরুগুয়ে। তাবারেজের কথায় পরিষ্কার, বল দখলে রাখা নয়, ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে আনাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, ‘সাউথ আফ্রিকা বিশ্বকাপে আমাদের চেয়ে স্বাগতিকদের বল দখল বেশি ছিল। কিন্তু আমরা ঠিকই চতুর্থ হয়ে দেশে ফিরেছিলাম। বল কম দখলে রেখেও আমরা দারুণ ফলাফল করেছিলাম। অনেকের মাঝেই একটা ভুল ধারণা আছে যে, বল বেশি দখলে রাখলেই কেবল গোলের সুযোগ বেশি তৈরি করা যায়। ইতালিতে কাজ করার সময় আমি এগুলো শিখেছি। বল পজিশন কম রেখেও কীভাবে গোলের সুযোগ তৈরি করা যায়, সে ব্যাপারে কাজ করেছি আমরা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনাকে রক্ষণ ঠিক রাখতে হবে। বল দখলে না রেখেও আপনি প্রতিপক্ষের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারেন।’

তবে উরুগুয়ে কোন নির্দিষ্ট ধরন ধরে রেখে খেলবে না, সেটাও জানিয়ে রাখলেন ‘এল মায়েস্ত্রো’ নামে পরিচিত তাবারেজ, ‘তবে আমরা যে সবসময় এভাবেই খেলব সেটা মনে করার কারণ নেই। প্রতিপক্ষ কেমন, তারা আমাদের খেলার জন্য কতটা স্পেস দিচ্ছে এসবের উপর নির্ভর করে আমাদের কৌশল পরিবর্তিত হবে। ম্যাচ যত যাবে প্রতিপক্ষ তত বেশি কঠিন হবে।’

আগামী শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী ফ্রান্সের মুখোমুখি হতে হবে উরুগুয়েকে। এই ম্যাচ সামনে রেখে ফ্রান্সের দুই স্ট্রাইকার গ্রিজম্যান ও এমবাপের প্রশংসাই ঝরে পড়লো তাবারেজের কণ্ঠে, ‘ফ্রান্স দলটা খুবই শক্তিশালী, বিশেষ করে ওদের দুই স্ট্রাইকার গ্রিজম্যান ও এমবাপ্পে। ওদের দলটায় প্রচুর গতি। গোলের সুযোগ পেলেই তারা বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। ওদের গতির সাথে তাল মেলাতেই হিমশিম খেতে হয়েছে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডারদের।’  

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank signals market-based exchange rate regime

The central bank will allow the exchange rate of the dollar to be determined by market forces

31m ago