বাংলাদেশ থেকে মাছ চাষ শিখছে পশ্চিমবঙ্গ

Sorpunthi
কলকাতার নলবন ঝিলের সামনে একটি অ্যাপ-ভিত্তিক মাছের দোকানের সামনে এভাবেই বাংলাদেশি মাছের নাম লিখে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। ছবি: স্টার।

বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি প্রজাতির মাছ চাষে শিক্ষা নিচ্ছে প্রতিবেশী ভারতের বাংলা ভাষাভাষী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়াও, বাক্সে কাঁকড়া চাষের তালিমও নিচ্ছে রাজ্যের মৎস্য দফতর।

জলবায়ুর দিক থেকে প্রায় শতভাগ মিল হলেও মাছ উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে এবং সেই মাছ সুস্বাদুও। এছাড়াও, মাছ চাষের পদ্ধতি বিজ্ঞানসম্মত হওয়ায় শোল, সরপুঁটি ইত্যাদি মাছের উৎপাদনেও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্টেট ফিসারিজ ডিপার্টমেন্ট কর্পোরেশন বা এসএফডিসি সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কাঁকড়ার পোনা এনে বাক্সে চাষ শুরু করেছে। একইভাবে তারা পোনা এনে পরীক্ষামূলক চাষ করছে শোল ও সরপুঁটি মাছেরও। বাংলাদেশের মাছের বীজ এবং মাছ চাষিদের মধ্যে স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বেশ সাফল্যও পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য চাষ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি।

আর এই সাফল্য পাওয়ার কারণে আগামীতে আরো কিছু ছোট প্রজাতির বাংলাদেশি মাছ নিয়েও রাজ্যটির সংশ্লিষ্ট দফতর গবেষণা করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

এসএফডিসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌমজিৎ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তার ভাষায়, “বাঙালির কোনও সীমানা নেই। আমাদের প্রতিবেশী দুই বাংলার জলবায়ু-জলজপ্রাণী সবই এক। বেশ কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশ থেকে কাঁকড়া, শোল ও সরপুঁটির বীজ এনে আমরা এখানে (পশ্চিমবঙ্গে) গবেষণা করছি। এতে দারুণ সাড়াও মিলছে। একই সঙ্গে আমরা ওদের (বাংলাদেশ) প্রযুক্তিগত সাহায্য করছি।”

“দুই বাংলা মিলেমিশে মাছের চাষ ও উৎপাদন করলে আমরা বিশ্বের অন্যতম মাছ উৎপাদনের জায়গা হিসেবে পরিচিতি পাবো। এটি ভেবেই এখন যৌথভাবে আমরা (পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ) এ ক্ষেত্রে অনেক রকমের কাজ শুরু করেছি,” যোগ করেন সৌম্যজিৎ দাস।

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

A captain cannot abandon ship, especially when the sea is turbulent

10h ago