স্পেনের জার্সিতে আর দেখা যাবে না ইনিয়েস্তাকে

অনেকটা অনুমিতই ছিল। এই বিশ্বকাপই আন্তর্জাতিক ফুটবলের শেষ হতে যাচ্ছে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার, ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। হলোও তাই। রাশিয়ার কাছে হেরে বিদায়ের দিন বিদায় নিয়েছেন ইনিয়েস্তাও।
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছেন ইনিয়েস্তা
স্পের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে মাঠ ছাড়লেন হতাশ ইনিয়েস্তা

অনেকটা অনুমিতই ছিল। এই বিশ্বকাপই আন্তর্জাতিক ফুটবলের শেষ হতে যাচ্ছে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার, ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। হলোও তাই। রাশিয়ার কাছে হেরে বিদায়ের দিন বিদায় নিয়েছেন ইনিয়েস্তাও।

স্পেনের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তটির জন্মদাতা তিনি। ২০১০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ১১৬ মিনিটে করা তাঁর গোলেই প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় তুলেছিল স্পেন। সেই নায়কের বিদায় হয়ত মন মতো হলো না।

দেশের হয়ে ১৩০ টিরও বেশি ম্যাচ খেলা ও তিনটি বড় শিরোপা জেতা ইনিয়েস্তা ম্যাচ শেষেই সাংবাদিকদের সামনে অবসরের ঘোষণা দেন। গতকালের ম্যাচে শুরুর একাদশে না থাকা এই মিডফিল্ড মায়েস্ত্রো ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘বাস্তবতা এটাই যে স্পেন জাতীয় দলের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ ম্যাচ, সেটিও বিশ্বকাপের মতো এমন দুর্দান্ত একটি মঞ্চে। অসাধারণ এক যাত্রার সমাপ্তি ঘটলো আজ। সবসময় তো শেষটা মানুষের মনের মতো হয় না।’

তবে তিনি না থাকলেও স্পেন দল ঠিকই সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস এই কিংবদন্তির, ‘জাতীয় দল ঠিকই সফলতার পথে এগিয়ে যাবে, কারণ আমাদের একগুচ্ছ প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। তাদের উচিত স্পেনকে আরও সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা।’

বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে আগেই হুলেন লোপেতেগির বিদায়ে কিছুটা হলেও টালমাটাল হয়ে পড়েছিল স্পেন শিবির। তবে রাশিয়ার কাছে হারের পেছনে এই ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে নারাজ ইনিয়েস্তা, ‘আমরা চাইলেই লোপেতেগির বিদায়কে এই হারের পেছনে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে পারি। কিন্তু দিনশেষে মাঠের ফুটবলটা আমাদের খেলোয়াড়দেরই খেলতে হয়। মাঠে যারা খেলেছে, তারাই আসলে এই ফলাফলের জন্য দায়ী।’

জাতীয় দলের হয়ে ১৩১ ম্যাচে ১৩ গোল করেছেন ইনিয়েস্তা, এই ১৩ গোলের মধ্যেই আছে স্পেনের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটি। ২০০৮ ও ২০১২ ইউরো ও ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী স্পেন দলের মিডফিল্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুনঃ মেক্সিকো ম্যাচের আগে দুঃসংবাদ ব্রাজিলের

Comments