সুইজারল্যান্ড বনাম সুইডেন: ভবিষ্যদ্বাণী, একাদশ ও রেকর্ড

গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষে নকআউট পর্বও শেষ দিকে। হারলেই বিদায়। সর্বোচ্চটা বাজি রেখেই খেলতে হবে দলগুলোকে। এদিন দিনের প্রথম ম্যাচে ১৯৫৮ সালের ফাইনালিস্ট সুইডেনের মোকাবেলা করবে সুইজারল্যান্ড।
প্রায় সম শক্তির দুটি দল। গ্রুপ পর্বে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়ে উঠেছে দুই দলই। ম্যাচটা হাড্ডাহাড্ডিই হবে। ছেড়ে কথা বলবে না কেউই।
ম্যাচের ফলাফল কি হবে তা জানা যাবে ম্যাচ শেষে, তবে তার আগেই ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, কৌশলও তুলে ধরা হলো-
কখন ?
বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা, মঙ্গলবার, ৩ জুলাই
কোথায়?
সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম, সেন্ট পিটার্সবার্গ
নজরে থাকবেন যারা
স্ট্রাইকিংয়ে বড় দুর্বলতা সুইজারল্যান্ডের। দুই উইংই দলের মূল ভরসা। জেরদান শাকিরির সঙ্গে হারিস সেফেরোভিচের জুটির উপর চেয়ে থাকবে দলটি। পাশাপাশি দুই ফুলব্যাক লিখটস্টেইনার ও রদ্রিগেজও থাকছেন নজরে।
মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারেন তরুণ সুইডিশ উইঙ্গার এমিল ফোর্সবার্গ। জার্মান ক্লাব আরবি লেইপজিগের রূপকথার মতো উত্থানের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তার। তবে শেষ ম্যাচে দারুণ খেলা ওলা টোইভোনেন গড়ে দিতে পারেন ম্যাচের পার্থক্য।
সম্ভাব্য একাদশ ও ম্যাচের কৌশল
সুইজারল্যান্ড : (৪-২-৩-১) সোমার, ল্যাং, ডিজরু, আকানজি, রদ্রিগেজ, ঝাকা, বেহরামি, শাকিরি, জেমাইলি, জুবার ও ড্রিমিচিচ।
সুইডেন : (৪-৪-২) ওলসেন, লাসটিগ, লিন্ডেলফ, গ্রাঙ্কভিস্ট, অগাস্টিনসন, ক্লাসেন, লারসন, একদাল, ফোর্সবার্গ, মার্কাস বার্গ ও টোইভোনেন।
ভবিষ্যদ্বাণী : শক্তির বিচারে খুব একটা পার্থক্য নেই দুই দলের। তবে বুফনের ইতালিকে কাঁদিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা সুইডেন কিছুটা এগিয়ে থাকবে ঐতিহ্যের কারণেই।
সম্ভাব্য স্কোর : সুইডেন ২-১ সুইজারল্যান্ড
অতিরিক্ত সংযোজন :
১) এ নিয়ে দুই দলের ২৯তম লড়াই। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে এবারই প্রথম। এমনকি ইউরোতেও কখনো মুখোমুখি হয়নি তারা।
২) সুইসদের বিপক্ষে শেষ তিন লড়াইয়ে অপরাজিত সুইডেন। যদিও এ দুই দলের শেষ লড়াইটা হয়েছিল ২০০২ সালে। সেবার ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচ। সুইডেনের বিপক্ষে সুইসদের শেষ জয়টি ১৯৯৪ সালে ৪-২ ব্যবধানে।
৩) ১৯৫৮ সালে ফাইনালে খেলার পর এরপর মাত্র একবারই সুইডেন দ্বিতীয় রাউন্ডের গণ্ডি পার হতে পেরেছিল। ১৯৯৪ সালে তারা তৃতীয় হয়েছিল।
৪) দেশের বাইরে সুইডেন কখনোই টানা দুই ম্যাচে জেতেনি।
৫) বিশ্বকাপে এটা সুইডেনের ৫০তম ম্যাচে। শিরোপা না জিতে তাদের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে একমাত্র মেক্সিকোই।
৬) সুইজারল্যান্ড শেষবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ১৯৫৮ সালে ঘরের মাঠে। এরপর তিনবার দ্বিতীয় রাউন্ডে (১৯৯৪, ২০০৬, ২০১৪) উঠতে পেরেছিল তারা। আর সে তিন ম্যাচের কোনটিতেই গোল দিতে পারেনি তারা।
৭) শেষ ২৫ ম্যাচে মাত্র একটি ম্যাচে হেরেছে সুইজারল্যান্ড (জয় ১৭, ড্র ৭)। ২০১৭ সালের অক্টোবরে পর্তুগালের বিপক্ষে ০-২ গোলে হারে তারা।
৮) সুইজারল্যান্ডের করা শেষ ১৪ গোলের ১১টিই এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে।
আরও পড়ুন ঃ গ্যালারিতে নাৎসি ব্যানার: রাশিয়াকে জরিমানা করলো ফিফা
Comments