পেনাল্টি মিস করায় প্রাণনাশের হুমকি!

Nicolai Jørgensen
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে গোল করতে না পারার হতাশায় নিকোলাই জোর্গেনসেন, ছবি: রয়টার্স (ফাইল)

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচটা পেনাল্টি শুটআউটে নিয়ে গিয়েছিল ডেনমার্ক। কিন্তু তিনটি পেনাল্টি মিস করায় আর কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হয়নি দলটির। সেই তিন পেনাল্টির মধ্যে শেষটি নিয়েছিলেন স্ট্রাইকার নিকোলাই জর্গেনসেন। তার মিসের পরেই ডেনমার্কের বিদায় নিশ্চিত হয়। আর এ কারণেই সমর্থকদের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন এই ডেনিশ ফুটবলার!

ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন ও লাস শনের পেনাল্টি মিসের পরেও ডেনমার্কের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন গোলকিপার ক্যাসপার স্মাইকেল। চারটি করে শট শেষে দুই দলই ছিল ২-২ সমতায়। কিন্তু পঞ্চম শটটি নিতে এসে মিস করে বসেন ২৭ বছর বয়সী স্ট্রাইকার জর্গেনসেন। পরে ইভান রাকিটিচ গোল করে ক্রোয়েশিয়ার জয় নিশ্চিত করেন।

আর এটিই মেনে নিতে পারেননি কিছু সমর্থক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জর্গেনসেনকে আক্রমণ করে বসেন অনেক সমর্থকই। এর মধ্যে কেউ কেউ তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন।

জর্গেনসেনকে এমন হুমকি দেয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ডেনিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। জর্গেনসেনের নিরাপত্তার জন্য পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সমর্থকদেরও আরও পরিণত আচরণ করার জন্য আহবান জানিয়েছে তারা, ‘এরকম আচরণ করা বন্ধ করুন। আমাদের সমাজে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার মতো ঘটনা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়, তা সে বিশ্বকাপ তারকা হোক, রাজনীতিবিদ হোক কিংবা যেকোনো সাধারণ মানুষ। এরকম ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এরকম উন্মাদের মতো আচরণ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’

ডাচ ক্লাব ফেইনুর্দের হয়ে ৭৬ ম্যাচে ৩৮ গোল করা জর্গেনসেন পেরু ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেছেন। ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্রামে থাকলেও শেষ ষোলোতে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে আবার দলে ফিরেছিলেন তিনি।

সমর্থকদের হাতে ফুটবলারদের প্রাণ হারানোর ঘটনা নতুন কিছু নয়। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে বাঁচা মরার ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আত্মঘাতী গোল করায় দেশে ফিরে সমর্থকদের গুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল কলম্বিয়ার অধিনায়ক আন্দ্রেস এসকোবারকে।

আরও পড়ুন ঃ যেভাবে পেনাল্টি ভাগ্য বদলালো ইংল্যান্ড

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

6h ago